This Article is From Jan 14, 2020

"যদি কোনও ঐক্য না থাকে...": নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা প্রসঙ্গে বললেন অমর্ত্য সেন

CAA Protests: সোমবারই নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠক করে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি, কিন্তু সেই বৈঠকে অংশ নেয়নি একাধিক আঞ্চলিক দল

Citizenship Amendment Act: কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও অমর্ত্য সেনের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ঐক্য না থাকলে প্রতিবাদ সফল হওয়া কঠিন বলেই মনে করেন অমর্ত্য সেন
  • সোমবারের বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গেই ওই কথা বলেন তিনি
  • বিরোধী বৈঠক এড়িয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস সহ বেশ কিছু আঞ্চলিক দল
কলকাতা:

 একতাই বল, ফের একবার এই মন্ত্রই যেন দেশের বিরোধী দলগুলিকে মনে করালেন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে একজোট হয়েই করতে হবে, বিচ্ছিন্ন ভাবে নয়, মনে করেন তিনি। যেভাবে গতকাল (সোমবার) কংগ্রেসের আহ্বানে নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর সংক্রান্ত বৈঠক এড়িয়ে গেছে বেশ কিছু আঞ্চলিক দল সে বিষয়েই অমর্ত্য (Amartya Sen) বলেন, "যদি ঐক্য না হয়, কোনও প্রতিবাদ-আন্দোলনই কাজে আসবে না"। দেশ জোড়া বিক্ষোভের (CAA Protests) মধ্যেই সিএএ-এনপিআর-এনআরসি সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল বিরোধীরা। কিন্তু তাতে যোগ দেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী সহ আরও কয়েকটি বিরোধী দলের প্রধানরা।

"ঐক্যবদ্ধ হলে আরও ভালভাবে বিক্ষোভ দেখানো যায়। যদি একতা না থাকে, বিক্ষোভ কাজ করবে না। প্রতিবাদ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই প্রয়োজন। তবে আমি বিশ্বাস করি না যে একতার অভাবে দেশের জনগণ প্রতিবাদ করা বন্ধ করে দেবে। এটা কখনোই কাম্য নয়", সোমবার বিরোধী বৈঠক নিয়ে নোবেল বিজয়ীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি এই কথা বলেন।

'কাগজ আমরা দেখাব না', একঝাঁক তারকার প্রতিবাদী ভিডিওতে সরগরম সোশ্যাল সাইট

কলকাতার এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, "প্রতিবাদ যদি সঠিক কারণে হয় তবে ঐক্যবদ্ধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে যদি একতা না থাকে, তার অর্থ এই নয় যে আমরা প্রতিবাদ বন্ধ করে দেব।"

কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও অমর্ত্য সেনের মন্তব্যকে সমর্থন করেন।

তিনি টুইট করেন, "অমর্ত্যজি ঠিকই বলেছেন। সমস্যা হচ্ছে বিরোধী দলগুলি জাতীয় ইস্যুতে একমত হয় অথচ বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে তাঁরা আলাদা হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই তাদের সকলকে একটি সাধারণ মঞ্চ বা ফ্রন্টে একত্রিত করা এতো কঠিন; আসলে এর জন্যে তাদের আঞ্চলিক স্তরের স্বার্থত্যাগ করতে হবে। সুতরাং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিজেপি জিতে যাচ্ছে"।

এর আগে অমর্ত্য সেন বলেন যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটি সংবিধানের নীতি লঙ্ঘন করছে।

বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি, শিবসেনা, ডিএমকে এবং সমাজবাদী পার্টি সহ ছয়টি প্রধান আঞ্চলিক দলের সোমবার ওই বৈঠকে যোগ না দেওয়া। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বলেছে যে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

Stop NPR: এনপিআর নয়, মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা বিরোধী বৈঠকে

বিরোধী বৈঠকে যে ২০ টি দল অংশ নিয়েছে তারা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বাস্তবায়ন করতে দিতে অস্বীকার করবেন। তাঁদের অবশ্যই নিজেদের রাজ্যে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন প্রক্রিয়াও স্থগিত করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।

.