This Article is From Mar 30, 2020

ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরেই রয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে জানাল সরকার

করোনা সংক্রমণের অতিমারীতে ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরেই রয়েছে। সোমবার এমন‌ই দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরেই রয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে জানাল সরকার

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন, মৃত ৪।

নয়াদিল্লি:

করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের অতিমারীতে ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের (Local Transmission) স্তরেই রয়েছে। সোমবার এমন‌ই দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক নথি অনুসারে বলা হয়েছিল ভারত স্থানীয় সংক্রমণ ও কিছু ক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণের অবস্থায় রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন‌ের উত্তরে এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ'-এর তরফে লব আগরওয়াল বলছেন, ‘‘আমরা কোনও ক্ষেত্রেই এটাকে গোষ্ঠী সংক্রমণ বলিনি। আমরা এখনও স্থানীয় সংক্রমণেই রয়েছি। যদি ‘গোষ্ঠী' শব্দটি ব্যবহারও করে থাকি আমরা তবে তার আলাদা কারণ আছে।'' তাঁর বক্তব্য, ‘‘দয়া করে আমাদের ‘গোষ্ঠী' শব্দটি উচ্চারণ করতে দিন। কিন্তু আপনারা যেভাবে ব্যাখ্যা করছেন সেই অর্থে নয়। আমাদের দেশ স্থানীয় সংক্রমণের স্তরে রয়েছে।'' ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১,১০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে। মৃত ২৯ জন। 

"ভয় আর আতঙ্ক, ভাইরাস সংক্রমণের চেয়েও বড় সমস্যা", বললেন প্রধান বিচারপতি

রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি নথি প্রকাশ করা হয়। তাতে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কাউকে স্তানান্তরিত করার ক্ষেত্র নিয়ে বক্তব্য রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বর্তমান ভারতের কোভিড-১৯ অতিমারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। এর সঙ্গে আলাদা করে উল্লেখ করা হয় ‘স্থানীয় সংক্রমণ ও সীমিত গোষ্টী সংক্রমণ' এই শব্দবন্ধ। এর থেকেই শুরু হয় জল্পনা।

মোট চারটি পর্বের প্রথমটিতে অন্য দেশ থেকে আগত ব্যক্তিরা রোগটি বয়ে আনবেন। এক্ষেত্রে কেবল মাত্র বিদেশ থেকে আগতরাই আক্রান্ত হন।

রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মোট ২২ জন ভুগছেন ওই মারণ রোগে

সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন রয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। এই পর্বে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংক্রমণ স্থানীয় ভাবে ছড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, আক্রান্ত হতে পারেন বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন। স্থানীয় সংক্রমণে কম মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। এক্ষেত্রে ভাইরাসের সূত্রটা জানা এবং তাই গোষ্ঠী সংক্রমণের চেয়ে এক্ষেত্রে শৃঙ্খলটি খুঁজে পাওয়া সহজ।

তৃতীয় পর্ব বা স্টেজ-৩-তে দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য কোনও আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত দেশ থেকে আগত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেনি। এই পর্বে কোথা থেকে সংক্রমণ ঘটেছে তা বের করা কঠিন।

গত মঙ্গলবার থেকে লকডাউনে রয়েছে দেশ। বিশ্বব্যাপী ৩০,০০০-এরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেই ভাইরাসের মোকাবিলায় এমন পদক্ষেপ সরকারের।

গত ৬ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে দেশে। ২২ মার্চ ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫টি জেলার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন। ২৮ মার্চ তা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৬০টি জেলায়।

.