নিউ দিল্লি: ভারতে সমকামী যৌনতার ওপর 150 বছরের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সরকারি পক্ষের কৌঁসুলি আজ শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিলেন, ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তগ্রহণের ভার সম্পূর্ণ সঁপে দিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
377 ধারাটিকে রদ করার পক্ষে যে আবেদনগুলো জমা পড়েছিল, সেই সংক্রান্ত মামলাটি শুনছেন সুপ্রিম কোর্টের উচ্চপদস্থ বিচারপতিরা। ব্রিটিশ আমলের সেই ধারায় বলা ছিল, সমকামিতার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
শুনানির দ্বিতীয় দিনে সরকারি পক্ষের উকিল তুষার মেহতা বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আমরা আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়েছি”।
তাঁর কথার উত্তরে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, “তাহলে আপনারা 377 ধারাটি কে অপরাধের ধারা হিসাবে গণ্য করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্তের ভার আমাদের বিচক্ষণতার ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন?”
গতকাল বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, 2013 সালে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে সমকামিতাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে যে রায়দান করেছিল শীর্ষ আদালত, তার ‘সংশোধন’ নিয়েই কেবল পর্যালোচনা করা হবে।
2013 সালে সমকামিতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিপক্ষে একের পর এক পিটিশন জমা পড়ছিল আদালতে। যার ফলে গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটির দিকে আবার নতুনভাবে নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সামাজিক ‘নৈতিকতা’র পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখেই শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানা গিয়েছে।