গুয়াহাটি থেকে কলকাতাগামী গো-এয়াররের এয়ারবাস এ-৩২০ নিও (A-320 NEO) বিমানে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন আতঙ্ক। গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার দশ মিনিটের মধ্যেই ফের রানওয়েতে ফিরলো ওই বিমান। অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ'র তরফে জানা গেছে, যাত্রীরা ইঞ্জিনের টেইল-পাইপ (পিছনের অংশে)-এ আগুন লক্ষ্য করেন। এরপর তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে অনবোর্ড কর্মীদের জানালে ফের গুয়াহাটিতে অবতরণ করে ওই বিমান। আরও জানা গেছে ১৩২ জন যাত্রী-সহ জি৮-৫৪৬ (G8-546) ওই বিমানকে নামতেই হতো। কারণ ইঞ্জিন বিকল হয়ে তার লেজের দিকে আগুন লাগার কারণে ইঞ্জিন থেকে বিকট আওয়াজ বেরোচ্ছিল ও অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছিলো সেই বিমান।
গো-এয়ারের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেই বিমান ওড়ার কিছুক্ষনের মধ্যে গুয়াহাটি ফিরে এসেছিলো। সেখানেই আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ত্রুটি ঠিক করে তাকে ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর নিরাপদে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া গেছে।" আপাতত গো-এয়ারের ওই বিমানকে উড়তে না করেছে ডিজিসিএ।" গত রবিবার মুম্বাই থেকে চন্ডীগড়গামী একই বিমানে এ-৩২০ নিও (A-320 NEO) যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গেছিলো।
দীপাবলির পর থেকে গো-এয়ার আর ইন্ডিগোর এই এয়ার বাসে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যাচ্ছে। মূলত প্রকট আর হুইটনি পাওয়ার ইঞ্জিনের জন্য এই সমস্যা বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
আমেরিকার অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএএ অবিলম্বে ইঞ্জিনের ভোল বদলে ফেলতে সব এয়ার ক্র্যাফট নির্দেশ দিয়েছে। সেই পথে হেঁটেছে ডিজিসিএ। এই ধরণের ইঞ্জিন আমূল বদলে ফেলতে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি অবধি সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছে ডিজিসিএ। নির্দেশ গেছে গো-এয়ার ও ইন্ডিগোর কাছে।