ত্রিপুরা প্রতি বছরে ৯০ লাখ কিলোগ্রাম চা উৎপাদন করে।
হাইলাইটস
- আন্তর্জাতিক সীমানায় চা চাষ করতে চায় ত্রিপুরা
- এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে অবশ্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বাংলাদেশ থেকে অনুমতি নিতে হবে ত্রিপুরাকে
আগরতলা: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানায় চা চাষ করতে চায় ত্রিপুরা। ত্রিপুরা টি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বা টিটিডিসির কর্তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে অবশ্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। প্রথমেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর তাছাড়া বাংলাদেশের থেকেও বিশেষ ছাড়পত্র প্রয়োজন। দুদেশের মধ্যে ১৯৭১ সালে ইন্দিরা- মুজিব চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুসারে ফেন্সিং আছে আন্তর্জাতিক সীমানায়। কিন্তু কিছু কৃষকের জমি মাঝে পড়ে যাওয়ায় সেখানে এখন চাষবাসের কাজ হয়। ভোর ছ'টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে চাষের কাজ করতে পারেন কৃষকরা। তবে নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে উঁচু গাছ লাগানো যায় না। একই সঙ্গে উদ্যান পালনও করা যায় না বলে দাবি প্রশাসনের। আর তাই চা চাষ করতে প্রয়োজন বিশেষ অনুমতির।
রাজ্যে আসছেন মোদী, ১৬ তারিখ শিলিগুড়িতে জনসভা
এবার এখানেই চা চাষ করতে চায় টিটিডিসি। এখন ত্রিপুরা প্রতি বছরে ৯০ লাখ কিলোগ্রাম চা উৎপাদন করে। কিন্তু ফেন্সিংয়ে চাষ শুরু হল উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে। আর সেক্ষেত্রে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে চা চাষে জোয়ার আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সামগ্রিক ভাবে চা শিল্পকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেন টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা। তাঁর কথায় একশো বছরের পুরনো চা শিল্পের প্রতি এতদিন তেমন কোনও আগ্রহ দেখান হয়নি, এখন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে লোগোও। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চা রপ্তানির চেষ্টা হচ্ছে। এ উদ্দেশে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে টিটিডিসির।
দেখুন ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)