This Article is From Dec 22, 2019

দিল্লির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা, “আপনার অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি এটা করতে পারেন কিনা”

দিল্লির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনটি (CitizenshipLaw) বাংলায় কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee), রবিবার রামলীলা ময়দানের সভা থেকে তারই পাল্টা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) । এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা, “আপনার অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি এটা করতে পারেন কিনা”। রামলীলা ময়দানের সভা থেকে তিনি বলেন, “কয়েকজন বলছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবেন না। আপনি মুখ্যমন্ত্রী। আপনি সংবিধান নিয়ে শপথ নিয়েছেন। আপনি জাতীয় পতাকার ছত্রছায়ায় রয়েছেন, তারপর এই ধরণের বিবৃতি? অন্তত যাঁরা আইনটি জানেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন, যদি খোলাখুলি না হয়, বদ্ধ দরজায় আড়ালে কথা বলুন”।

এদিনের সভা থেকে পূর্বসূরী ডঃ মনমোহন সিং, কংগ্রেস নেতা এবং অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি সংসদে বলেছিলেন, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত মানুষ এদেশে এসেছেন, আমাদের উচিত, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া। যদি মোদি তা করে, তাহলে কি তিনি খারাপ? একটা সময়ে তরুণ গগৈ বলেছিলেন, বাংলাদেশে যাঁরা নিপীড়নের শিকার, তাঁদের সাহায্য করা উচিত। এক সময়ে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন”।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিই একসময়ে বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন, এবং “অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন”।

রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ট্যুইট করা একটি ভিডিও ক্লিপকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই, এবং বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদিকে গণভোট করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে একটি সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে, যা খুশি করতে পারেন না”।

এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মমতাদিদি, আপনার কী হয়েছে? কেন আপনি পাল্টে গিয়েছেন? কেন আপনি গুজব ছড়াচ্ছেন”? প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতা যাবে আসবে। আপনি কেন ভয় পাচ্ছেন? বাংলার মানুষকে বিশ্বাস করুন। তাঁরা কেন এখন আপনার শত্রু”?

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিক ফলাফলনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাণ ছুঁড়ে দেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনেক মধ্যে ১৮টিতে ফোটে পদ্ম, যেখানে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তারা পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন।

.