আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া ইরান এবং পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করে।
হাইলাইটস
- আফগানিস্তান নিয়ে আগ্রহ থাকলে তালিবানের সঙ্গে কথা ব্লুক ভারত
- তালিবানের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভারতের সরকারি অবস্থান
- তবে সেনা প্রধান মনে করেন এই যুক্তি কাশ্মীরের ক্ষেত্রে খাটে না
নিউ দিল্লি: ভারতের যদি আফগানিস্তান নিয়ে আগ্রহ থাকে এবং অন্য দেশগুলি যদি তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করে তাহলে এ দেশেরও পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। এমনই মনে করেন দেশের সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তবে তাঁর বক্তব্য এই যুক্তি কাশ্মীরের ক্ষেত্রে খাটে না। তাঁর কথায় আমাদের যদি আফগানিস্তান নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়া উচিত হবে না। সেনা প্রধান এ কথা বললেও তালিবানের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভারতের সরকারি অবস্থান। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া ইরান এবং পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করে। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার মধ্যে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ভারত চায় আফগানিস্তানে নিজেরাই নিজেদের শাসন করুক।
এর আগে রাশিয়ায় গিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেয় ভারত। মস্কো শহরের সেই সভায় আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনা নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে তালিবানও অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ভারতের যোগদান সরকারি স্তরে ছিল না। সেখানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন দুই প্রাক্তন আমলা। সেনা প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই এক বিষয় কি কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সম্ভব? তাঁর জাবাব, কাশ্মীরে কোনও তৃতীয় পক্ষ যুক্ত হতে পারে না। এই বক্তব্যের সমালোচনা করে টুইট করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা। তিনি বলেন, আমরা তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি অথচ কাশ্মীরে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে পারি না! তাহলে আমাদের নীতিটা ঠিক কী? আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেব্যবা মুফতি বলেন, সেনা প্রধান তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলছেন। সেটা যদি ঠিক হয় তাহলে কাশ্মীরের ক্ষেত্রে অবস্থান বদলের কী দরকার?