রাজকোটে এক দলিতকে নির্দয়ভাবে হত্যা করার দায়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল।
নিউ দিল্লি:
কোমরে দড়ি বেঁধে রড দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হল একজন দলিতকে। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে মারা গেল লোকটি। পুলিশ জানিয়েছে, অটোর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক কারখানার এক মালিকের নির্দেশে তাকে এইভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। মারা হয়েছে তার স্ত্রীকেও। ঘটনাটি গুজরাটের রাজকোটের।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুকেশ ভানিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে দুজন লোক কুপিয়ে কুপিয়ে মারছে। ওই ব্যক্তি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল। গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানির টুইটের ফলে এই ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
“তফশিলী জাতির অন্তর্গত মানুষ মুকেশ ভানিয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে রাজকোটের এক কারখানার মালিক। তার স্ত্রীকেও প্রহার করা হয়েছে নির্দয়ভাবে”। #gujaratisnotsafe4dalits লিখে তিনি এই টুইটটি করেন।
এই ঘটনায় কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
“আমরা কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। কারখানার মালিকের নাম এই মুহূর্তে আমি প্রকাশ্যে আনতে পারব না, কারণ, এফআইআরে তার নামটি উল্লেখ করা হয়নি। তাদের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ অফিসারই এই কেসটির দায়িত্ব নেবে”। রাজকোটের সিনিয়র পুলিশ অফিসার শ্রুতি মেহতা বলেন।
রবিবার সকালে, মুকেশ ভানিয়া এবং তার স্ত্রী, দুজনেই লোহা-লক্কড় কুড়োয়, চুম্বক ব্যবহার করে ছাঁট লোহা খুঁজছিল। ওই সময়েই কারখানার কিছু কর্মী ‘চোর’-সন্দেহে তাদের বাধা দেয়।
মহিলাটি ওখান থেকে কোনওমতে ওখান থেকে পালিয়ে নিকটবর্তী গ্রামে সাহায্য প্রার্থনার জন্য যায়। কয়েকজন লোককে নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে এসে সে দেখে মুকেশ ভানিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়।
জিগনেশ মেবানি তাঁর পোস্টে এই ঘটনাকে 2016 সালে উনাতে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনাটির থেকেও খারাপ বলে অভিহিত করেন।
“এই ঘটনাটি উনার ঘটনার থেকেও অনেক অনেক বেশি নৃশংস। উনাতে দলিতদের মারা হয়েছিল এবং প্রচণ্ডভাবে সম্মানহানি করা হয়েছিল। কিন্তু, এখানে, জাতিগত বিদ্বেষের জন্য একটি মানুষের তাজা প্রাণ চলে গেল। গুজরাট সরকার এখনও তাদের অতীতের ভুল থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি”। মেবানি ফেসবুকে এ কথা লেখেন।