This Article is From Sep 26, 2018

ভিডিও দেখুন: "এত হিন্দু থাকতে মুসলমানের সঙ্গে প্রেম কেন"? বলে মারল পুলিশ

মুসলমানের সঙ্গে প্রেম করার জন্য পুলিশই মারল উত্তরপ্রদেশের মীরাটের এক যুবতীকে। ঘটনাচক্রে, যে পুলিশই ওই যুবতীকে জনরোষের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছিল।

পুলিশকর্মীটি ওই ভিডিও তার সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার পর তা পৌঁছে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হাইলাইটস

  • ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যুবতীকে হেনস্তা করছে পুলিশকর্মীরা
  • মুসলমান প্রেমিকা থাকার কারণেই তাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ
  • ভিডিওটিতে যে পুলিশকর্মীদের দেখা যাচ্ছে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে
মীরাট:

একবিংশ শতাব্দীর আঠারোটি বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এ দেশ যে ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি এখনও, তার উদাহরণ ভুরিভুরি। আদৌ কখনও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠতে পারবে কি ভারত? ধর্ম নিয়ে হিংসার এই যুগে ফের আরেকটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসে প্রশ্নটিকে পুনরায় উসকে দিল। মুসলমানের সঙ্গে প্রেম করার জন্য পুলিশই মারল উত্তরপ্রদেশের মীরাটের এক যুবতীকে। ঘটনাচক্রে, যে পুলিশই ওই যুবতীকে জনরোষের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছিল। ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ভ্যানে বসে থাকা চারজন পুলিশ কীভাবে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে চড়-থাপ্পড় মেরেই চলেছে ওই যুবতীকে। ওই ভিডিওটি করেছে চারজন পুলিশের একজন।

অভিযুক্ত পুলিশদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে তড়িঘড়ি। এখন তদন্ত চলছে।

পুলিশ ভ্যানের চালকের আসনে বসে থাকা এক পুলিশের মোবাইলে তোলা উনত্রিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, যুবতীটি এক মহিলা পুলিশকর্মী ও এক পুরুষ পুলিশকর্মীর মাঝখানে বসে আছে। গাড়ির সামনে বসে আছে দুজন পুলিশ কর্মী।

একজন পুলিশকর্মীর গলা পাওয়া যায়- “চারপাশে এত হিন্দু থাকতেও তুই মুসলমানকে পছন্দ করলি কেন”? ঠিক তারপরেই মহিলা পুলিশকর্মীটি ওই যুবতীকে মারতে থাকে। যে স্কার্ফ দিয়ে যুবতীর মুখ ঢাকা ছিল, খুলে ফেলা হয় সেটিও। তারপর মারধোর চলতেই থাকে।

সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীটি ওই ভিডিও তার সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার খানিকক্ষণের মধ্যেই সেটি পৌঁছে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঘটনাটি গত রবিবারের। মধ্য কুড়ির ওই যুবতী ও তার মুসলমান প্রেমিক দুজনেই মেডিক্যালের পড়ুয়া। অভিযোগ, তাদের দুজনকে আক্রমণ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থকরা। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ‘লাভ জিহাদ’ এর।

তাদের কাছ থেকে ওই দুজনকে উদ্ধার করে দুটি আলাদা গাড়িতে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই ওই ঘটনা ঘটে।

.