মহেন্দ্রগড়: ৮০ বছর বয়সী শাশুড়িকে (80-year-old mother-in-law) চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করল বউমা। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, দিল্লি থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলায় (Haryana's Mahendragarh district)। ফোনে প্রতিবেশি সেই ঘটনার ছবি তুলে পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলে নিমেষে ভাইরাল হয় তা। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সবাই। পাশাপাশি, এই ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নারীর প্রধান শত্রু নারী-ই।
ভিডিও-তে আরও দেখা গেছে, মারের চোটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধা চান্দ বাই (Chand Bai)। সেই দেখেও সহানুভূতি জাগা দূরঅস্ত, তাঁকে আরও নির্মম ভাবে মারছে বউমা কান্তা বাই (Kanta Bai)। এদিকে অনলাইনে সেই ভিডিও চোখে পড়তেই ক্ষুব্ধ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Haryana Chief Minister) মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)।
"সভ্য সমাজে এই ধরনের অমানবিকতা মেনে নেওয়া যায় না। এই মহিলার চূড়ান্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একে অবিলম্বেই যেন গ্রেফতার করা হয়। " ভিডিওটি দেখে এমনই মন্তব্য তাঁর।
অভিযুক্তের প্রতিবেশি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গোটা ঘটনা ভিডিও করেন মোবাইলে। এবিষয়ে তাঁর মন্তব্য, তিনি হতভম্ব কান্তা বাইয়ের এই আচরণে।
"মাঝামাঝেই ওই মহিলা তাঁর বৃদ্ধ শাশুডি়কে এভাবে মারধর করে। দেখেও এতদিন চুপ করে থেকেছি। বুঝতে পারিনি কী করা উচিত। আজ সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় ভয় সরিয়ে গোটা ঘটনা ভিডিও করে হোয়াটসঅ্যাপে ছেড়ে দিই।" ওই শিক্ষার্থী এমনটাই জানিয়েছেন এনআই -কে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হতেই পুলিশ নিয়াজ নগর গ্রামেগিয়ে প্রথমে চিকিতসার বন্দোবস্ত করে মহিলার।
পুলিশকে দেখেই পালিয়ে যায় বউমা। পরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ অফিসার চান্দের মোহনের (Chander Mohan) মন্তব্য, "অভিযুক্ত কোনোদিনই শাশুড়িকে দেখত না। বয়স হয়ে যাওয়ায় শাশুড়ি ছিলেন তাঁর গলগ্রহ।,"
সীমান্তে সেনাবাহিনিতে কাজ করতেন চান্দ বাইয়ের স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি নিয়মিত পেনশনও পেতেন।
শাশুড়িকে অত্যাচার এবং মারধরের অভিযোগে আজ সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে কান্তা বাইকে (Kanta Bai)।
(এএনআই, পিটিআই থেকে সূত্রে খবর)