মঙ্গলবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুষমা স্বরাজ।
নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত (Sushma Swaraj Death) প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj)। টুইটারে নেটিজেনরা স্মরণ করলেন দয়ালু ও সহজলভ্য নেত্রীকে, যিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের মন জিতেছিলেন মানুষকে সাহায্য করে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমসে ৬৭ বছরের নেত্রীর মৃত্যুর (Sushma Swaraj Death) পরের দিন টুইটারে ফিরে এল তাঁর এই পুরনো টুইটটি।
এক টুইটার ব্যবহারকারী মজা করে তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁকে মঙ্গলগ্রহ থেকে উদ্ধার করতে। তারপরই এই টুইট করেন সুষমা।
স্যালুট জানিয়ে সুষমা স্বরাজকে শেষ বিদায় স্বামী, কন্যার
সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম সক্রিয় ভারতীয় নেত্রী হিসেবে তিনি টুইটারে বহু মানুষের মন জিতেছিলেন। রেখে গেলেন এক সহজলভ্য মন্ত্রীর উত্তরাধিকার, যিনি বিদেশে সমস্যায় পড়া ভারতীয়দের আবেদনেই দ্রুত সাড়া দিতেন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণের পরে আবেগঘন টুইট বার্তা স্মৃতি ইরানির
তাঁর এই সাহায্যকারী ভাবমূর্তির জন্যই তিনি হয়ে ওঠেন হাজার হাজার মানুষের আশার প্রতীক। চিকিৎসাজনিত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ভিসার ব্যবস্থা করা হোক বা কোনও সংঘর্ষ ক্ষেত্রে আটক ভারতীয়দের উদ্ধার করাই হোক, সুষমা সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
২০১৬ সালে যখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়, তখনও তিনি সাহায্যের আকুতিতে তিনি সাড়া দিয়েছেন। লন্ডনে থাকা এক ভারতীয় চিকিৎসার কারণে তাঁর ভিসার নবীকরণের জন্য তাঁর সাহায্য চান টুইটারে। তিনি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তখনও তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসার জন্য সেদেশের মানুষদের ভিসা পেতে সহায়তা করেছেন।
তাঁর জায়গায় বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন এস জয়শঙ্কর। এবছরের মে মাসে মন্ত্রিত্বের পদ পাওয়ার পরে তিনি লেখেন, ‘‘সুষমা স্বরাজের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পেরে গর্বিত।''
মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুষমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বহু শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতিতে। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির প্রবীণ নেতা এলকে আদবানি সহ আরো অনেকে। তাঁর মরদেহ তার আগে বিজেপির প্রধান দফতরে রাখা হয়েছিল দলীয় কর্মী ও নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। পরে সেখান থেকে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় লোধি শ্মশানে।