Read in English
This Article is From Jul 03, 2018

বাকিরা ঠিকঠাক ঝুলল কি না দেখার জন্য একজনকে প্রহরায় থাকতে হবে: নোট পাওয়া গেল বুরারিতে

নোটে লেখা রয়েছে এই ধর্মীয় আচার পালন করার ঠিক দিনগুলো হল মঙ্গলবার অথবা বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

পরিবারটি কোনও স্বঘোষিত গডম্যানের শিষ্য ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

Highlights

  • দুটো ডায়েরিতে ছিল এই নোটগুলো
  • হাতের লেখা পরীক্ষা করার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে ডায়েরিগুলো
  • পুলিশ দাবি করেছে, এই মৃত্যুর পিছনে কোনও 'ধর্মীয়' কারণ রয়েছে
নিউ দিল্লি:

উত্তর দিল্লির বুরারিতে ভাটিয়া পরিবারের 11 জনের একসঙ্গে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনায় নতুন তথ্য উঠে এল। একটি হাতে লেখা নোটে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, কীভাবে এই পুরো মৃত্যু প্রক্রিয়াটি ( যাকে ওই নোটে ‘ধর্মীয় আচারপদ্ধতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পন্ন করতে হবে। সোমবার এই কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।

দুটো ডায়েরিতে ওই নোটগুলো পাওয়া গিয়েছে। সেই নোটে লেখা রয়েছে এই ধর্মীয় আচার পালন করার ঠিক দিনগুলো হল মঙ্গলবার অথবা বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার।

“ওই নোটগুলিতে লেখা আছে, এই ধর্মীয় আচার পালন করার দিনে বাড়িতে রান্না করা যাবে না। অন্তত ছ’ঘন্টার জন্য মোবাইল ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকবে। ওই নোটগুলিতে এটিও উল্লেখ করা আছে যে, বাকিরা ঠিকঠাক গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়তে পারল কি না তা দেখে নিশ্চিত করার জন্য একজনকে প্রহরায়  থাকতে হবে”, বলেন এক তদন্তকারী অফিসার।

ওই নোটে বিস্তারিতভাবে লেখা রয়েছে, এই আচার পালন করার ফলে কীভাবে মৃত্যুকে এড়িয়ে গিয়ে “ঈশ্বরের কৃপা”তে বেঁচে গিয়ে আরও মহান কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে। একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা, যাঁর টুলে উঠতে সমস্যা হয়, তিনি কীভাবে পালন করবেন এই “ধর্মীয় আচার”,  ওই নোটে লেখা আছে সেটিও।

পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, ওই পরিবারটি কোনও স্বঘোষিত গডম্যান বা কোনও তান্ত্রিকের ভক্ত ছিল কি না।  ওই নোটগুলিতে বিস্তারিতভাবে এই নির্দেশগুলি লিখে রাখার পিছনে এমন কারও হাত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ওই নোটের একটি জায়গাতে লেখা ছিল, “মানবশরীর আসলে অস্থায়ী। চোখ আর মুখ ঢাকা থাকলে ভয়কে অনেক সহজে কাটানো যায়”।

  

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement