Mumbai Coronavirus Case: মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে (ফাইলচিত্র)
হাইলাইটস
- মুম্বইয়ে ধারাভী বস্তিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি
- ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস করে ওই বস্তিতে, ধারাভী এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি
- মহারাষ্ট্রে সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ জনেরও বেশি হয়েছে
মুম্বই: এবার এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভীতে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ছাপান্নের এক ব্যক্তির। বুধবারই ওই মারণ ভাইরাসের (Mumbai Coronavirus Case) কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, গতকাল তাঁর অবস্থা আশঙ্কা জনক হয় ও পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা ৭ জনকে আপাতত নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরে করোনা সংক্রমণ আছে কিনা তা জানতে আজ (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা করা হবে। সূত্রের খবর, ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই অঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি করোনা সংক্রমণ (Dharavi Coronavirus Case) ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই বস্তি এলাকার পুরোটাই "সিল" করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত COVID-19 পজিটিভের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে ধারভী বস্তিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে সংক্রমণের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ওই বস্তিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ, ফলে দ্রুত হারে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের জমায়েত থেকে ৯,০০০ মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা!
বুধবারই মুম্বইয়ে নতুন করে ৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। সব মিলিয়ে, মহারাষ্ট্রে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ এ। ওই মারণ রোগের কামড়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছে। এরই মধ্যে আবার, মুম্বইয়ের যশলোক হাসপাতালের ২ জন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আপাতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই হাসপাতালটি। ওই হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে যে ওই দুই নার্সের মধ্যে একজন সম্প্রতি এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, ওই রোগীর থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে হাসপাতালের নার্সের মধ্যে।
লকডাউনের মধ্যেই একটি সংস্থার গাড়িতে কলকাতা থেকে হরিয়ানা, পাকড়াও ৩১ জন
যশলোক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আক্রান্ত ওই দুই নার্স এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চিহ্নিত করে তাঁদের অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে"।
দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৬৩৭ জনে। এর মধ্যে ১,৪৬৬ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে ওই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। ইতিমধ্যেই ভারতে ওই মারণ ভাইরাস ৩৮ জনের প্রাণ কেড়েছে।