সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মোট কেসের মধ্যে এই ৩১ জনই ৯১টি অপরাধ করেছে। (প্রতীকী ছবি)
নয়াদিল্লি: অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) মিলিয়ে ৪২৯ জন অভিযুক্ত মানব পাচারকারীর (Human Traffickers) মধ্যে গত ১০ বছরে শাস্তি হয়েছে কেবল ৩ জনের। চার্জশিট, এফআইআর ও জেনারেল ডায়রি মিলিয়ে ১৯৮টি কেস ঘেঁটে একটি নতুন সমীক্ষায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই সমীক্ষা করেছে। সেগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশের ‘হেল্প'-এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের গরানবোস গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও প্যাট (পার্টনারস ফর অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং)। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৬৮ জন মানব পাচারকারী জামিন পেয়ে গিয়েছে। ৫ জনের ক্ষেত্রে তদন্ত চলছে এক দশক হয়ে গেল। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, ৪২৯ জন পাচারকারীর মধ্যে ৩১ জন বারবার এই কাজ করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এদের লক্ষ্য শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মোট কেসের মধ্যে এই ৩১ জনই ৯১টি অপরাধ করেছে (১৯ শতাংশ)।
"শুধুমাত্র জঙ্গিদের জন্যে তো আর নেট বন্ধ করা যায় না": S Jaishankar
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, এই ৪২৯ জনের মধ্যে মাত্র তিন জনের সাজা হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত তারা। ১০ জন প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বচর মামলা চলার পর।
আদালত ও থানার নথি পড়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন স্নিগ্ধা সেন। তিনি জানাচ্ছেন, এই পরিসংখ্যান থেকে মানব পাচার মামলায় তদন্তকারী সংস্থার দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তিনি বিভিন্ন নথি যাচাই করে দেখেছেন দুই রাজ্য থেকে ১৭৩ জনেরও বেশি মানুষ পাচার হতে হতে বেঁচেছেন।
বৃদ্ধকে খুন করে রেফ্রিজারেটরে দেহ! ধৃত অভিযুক্ত পরিচারক
স্নিগ্ধা আরও জানাচ্ছেন, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে গলদ থাকাপ ফলে তারা আরও সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এবং আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে এই কাজে।
গবেষণা থেকে এটাও উঠে আসছে যে, পাচারকারীরা যারা মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলেঙ্গানা বা গোয়ায় কিশোরী বা তরুণীদের বিক্রি করে দেয় তাদের বেশির ভাগ সম্পর্কেই খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি পাচারের পর উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও মূল স্রোতে ফেরানোর প্রয়াস করে।