This Article is From May 13, 2020

১ জুন থেকে সংসদের ক্যান্টিনে কেবল স্বদেশীয় সামগ্রীই বিক্রির সিদ্ধান্ত

আগামী ১ জুন থেকে সংসদের ক্যান্টিনে কেবল মাত্র ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অর্থাৎ স্বদেশীয় সামগ্রীই বিক্রি হবে। বুধবার সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে।

১ জুন থেকে সংসদের ক্যান্টিনে কেবল স্বদেশীয় সামগ্রীই বিক্রির সিদ্ধান্ত

সংসদের ক্যান্টিনে বার্ষিক ২,৮০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়।

নয়াদিল্লি:

আগামী ১ জুন থেকে সংসদের ক্যান্টিনে কেবল মাত্র ‘মেড ইন ইন্ডিয়া' অর্থাৎ স্বদেশীয় সামগ্রীই বিক্রি হবে। বুধবার সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছিলেন ‘আত্মনির্ভর ভারত'-এর কথা। তাঁর সেই বক্তব্যের সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এই বিষয়টির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কাছে আবেদন রেখেছেন আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার। এবং স্বদেশীয় পণ্যের দিকে ফোকাস রাখতে বলেছেন। নিঃসন্দেহে এর ফলে আগামী দিনে তা ভারতকে বিশ্বনেতৃত্বের দিকে এগিয়ে দেবে।'' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত সিএপিএফ ক্যান্টিনে কেবল স্বদেশীয় সামগ্রীই বিক্রি করা হবে। এটা ১ জুন থেকে কার্যকরী হবে। প্রায় ১০ লক্ষ সিএপিএফ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ৫০ লক্ষ সদস্য স্বদেশী সামগ্রী ব্যবহার করে।''

সংসদীয় ক্যান্টিনে বছরে ২,৮০০ কোটি টাকার বিক্রি হয়। সিএপিএফ-এর মধ্যে রয়েছে সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, এনএসজি ও অসম রাইফেলস।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সকলের উচিত স্বদেশীয় সামগ্রী ব্যবহার করা এবং অন্যকে করতে আর্জি জানানো। 
কোনও কোনও আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত বছরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দফতরে পরিদর্শনে যাওয়ার পর সকলকে স্বদেশীয় সামগ্রী ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

সিএপিএফ ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানাচ্ছেন, ‘‘যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবার স্বদেশীয় সামগ্রী ব্যবহারের কথা বলছেন, তখন আমাদের কাছে আর কোনও অপশন নেই।''

গত মঙ্গলবার দূরদর্শনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ-কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের মোট জিডিপি'র ১০% এই প্যাকেজ। যা সমাজের সর্বস্তরের জন্য প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি তিনি জোর দেন আত্মনির্ভরতার উপরে।

তিনি দেশীয় তথা স্থানীয় বাণিজ্যকে স্বাবলম্বী করতে আহ্বান জানান। ‘লোকাল ফর ভোকাল' তত্ত্ব খাড়া করেছেন তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি। তাঁর মতে, ব্যবসা ও উৎপাদন পরিসর বাড়ালে চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সামঞ্জস্য রাখতে পারা যাবে।

.