தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Sep 18, 2019

কখনই অন্য আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি: অমিত শাহ

হিন্দি দিবসে করা টুইটের বক্তব্য থেকে পিছু হটলেন অমিত শাহ। জানালেন, তিনি কখনই অন্য আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By
নয়াদিল্লি:

গত শনিবার হিন্দি দিবসে (Hindi Divas) করা টুইটের বক্তব্য থেকে পিছু হটলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার তিনি জানালেন, তিনি কখনই অন্য আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার (hindi Imposition) কথা বলেননি। তিনি বলেন, ‘‘যদি কিছু মানুষ এই নিয়ে রাজনীতি করতে চান, সেটা তাঁদের ব্যাপার।'' গত শনিবারই অমিত জানিয়েছিলেন, হিন্দি ভাষা গোটা দেশকে এক করতে পারে। অনেকেই তাঁর এই বক্তব্যকে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার ইঙ্গিতবাহী বলে ধরে নিয়েছিলেন। বুধবার অবশেষে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমি কখনই অন্য আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। আমি কেবল অনুরোধ করেছিলাম মাতৃভাষার পরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি শেখার জন্য। আমি নিজে এক অ-হিন্দিভাষী রাজ্য গুজরাত থেকে এসেছি। যদি কিছু মানুষ এই নিয়ে রাজনীতি করতে চান, সেটা তাঁদের ব্যাপার।''

হিন্দি হোক ভারতের জাতীয় ভাষা, হিন্দি দিবসে প্রস্তাব অমিত শাহের

গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করেন, ‘‘ভারত বহু ভাষাভাষীর একটি দেশ, এবং প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পরিচিতির জন্যে একটি অভিন্ন ভাষার প্রয়োজন, যা বিশ্বের কাছে ভারতের পরিচয় হয়ে উঠবে। আজ যদি এমন একটিও ভাষা থাকে যা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে, তবে তা হল হিন্দি ভাষা। এই ভাষাটি ভারতের সর্বাধিক কথ্য এবং সহজবোধ্য ভাষা।''

Advertisement

ওই টুইটকে ঘিরে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলি, যেখানে বরাবরই রাজ্যে হিন্দির ব্যবহার বাড়ানো সংক্রান্ত কোনও রকম সম্ভাবনা তৈরি হলেই প্রতিবাদ হয়, সেখানে অমিতের টুইট ঘিরে সরব হন অনেকেই।

"আপনি কোনও ভাষা চাপিয়ে দিতে পারেন না": অমিত শাহকে বললেন রজনীকান্ত

Advertisement

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা অমিতের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্নাটকের ক্ষেত্রে বলতে পারি, কন্নড় প্রধান ভাষা। আমরা কখনও এর গুরুত্বের সঙ্গে আপস করব না।''

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, হিন্দি দেশকে এক করছে, অমিতের এহেন মন্তব্য অবাস্তব।

Advertisement

তামিলনাডুতেও এই নিয়ে প্রতিবাদ দেখা যায়। বুধবারই রজনীকান্ত জানিয়ে দেন, কোনও দক্ষিণের রাজ্যই এই ধরনের পদক্ষেপ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, ‘‘একটি সাধারণ ভাষা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভাল। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, ভারতে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে সাধারণ ভাষা হিসাবে গণ্য করা সম্ভব নয়। তাই আপনি কোনও ভাষাকে চাপিয়ে দিতে পারেন না।''

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশেষ করে, যদি হিন্দিকে চাপিয়ে দেন, তাহলে তামিলনাডুই নয়, কোনও দক্ষিণের রাজ্যই তা মেনে নেবে না। উত্তরের বহু রাজ্যও তা মেনে নেবে না।''

Advertisement