এদিন লোকসভার ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা।
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষেই বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধীরা। নির্বাচনি বন্ড (Electoral Bonds) ও সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ (Privatisation Of Psus)— এই দু'টি ইস্যুতেই প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন তাঁরা। লোকসভায় অধীররঞ্জন চৌধুরী ও স্পিকার ওম বিড়লার বাদানুবাদকে কেন্দ্র করে রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায় দুপুর পর্যন্ত। এদিন ১৫ মিনিটের জন্য লোকসভার ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। এরপর ওম বিড়লা তাঁদের আশ্বাস দেন, জিরো আওয়ারে আবার এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা যাবে। বিরোধীরা এই ইস্যুকে ‘‘বড় দুর্নীতি'' বলে অভিহিত করে। লোকসভায় এদিন কংগ্রেস নেতারা ওয়েলে নেমে এসে স্লোগান দিতে থাকলে স্পিকার তাঁদের মনে করিয়ে দিতে থাকেন সংসদের শালীনতা ও মর্যাদা বজায় রাখা তাঁদের কর্তব্য।
স্পিকার বলেন, ‘‘এটা ভুল। কক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চলছে ক্রীড়াবিদদের নিয়ে। সংসদের শালীনতা ও মর্যাদা বজায় রাখা প্রতিটি সদস্যের কর্তব্য। আমি নতুন সদস্য। আপানারা সিনিয়র। ওয়েলে আসবেন না প্লিজ।''
উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা বড় দুর্নীতি। দেশকে লুট করা হচ্ছে। দয়া করে আমাদের বলতে দিন। আপনি নতুন নন। আপনি কক্ষের চেয়ার। আমরা বাধ্য হচ্ছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রতিবাদ করার জন্য সভা স্তব্ধ করতে, চেয়ারকে অসম্মান করতে নয়।''
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এর পর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি পরিচ্ছন্ন সরকার চালাচ্ছেন। এখানে দুর্নীতির কোনও সুযোগই নেই। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস রোজই এই এক ইস্যু তুলে সভার কাজ রদ করার চেষ্টা করছে।
এরপর কংগ্রেস ওয়াক আউট করে।
এৱই মধ্যে রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতারা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আলোচনার জন্য একটি নোটিশ ফাইল করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, এটা চেয়ারের সিদ্ধান্ত কোন বিষয়ে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কংগ্রেস বুধবারই দাবি জানিয়েছিল, সরকার নির্বাচনি বন্ডের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে সংসদে জানাক। তাদের অভিযোগ, এতে ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা নষ্ট হচ্ছে।
(তথ্যসূত্র: পিটিআই, এএনআই)