This Article is From May 25, 2020

সরকারের অনুমতি ছাড়া উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকদের কাজে লাগাতে পারবে না অন্য রাজ্য: যোগী আদিত্যনাথ

যোগী আদিত্যনাথ গণমাধ্যমের সঙ্গে এক অনলাইন কথোপকথনের সময় বলেন, “আমি আমার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি যে উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা উচিত।"

সরকারের অনুমতি ছাড়া উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকদের কাজে লাগাতে পারবে না অন্য রাজ্য: যোগী আদিত্যনাথ

"রাজ্যগুলি আমাদের অনুমতি ছাড়া এখান থেকে শ্রমিকদের নিতে পারবে না,” বলেন যোগী আদিত্যনাথ

লখনউ:

কোনও রাজ্য সরকার যদি উত্তর প্রদেশ থেকে নিজের রাজ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ করতে চায় তাহলে প্রথমে অনুমতি নিতে হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের, সোমবার জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। লকডাউন প্রত্যাহার হলে ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুনরায় চালু হওয়ার পরে উত্তরপ্রদেশেই কীভাবে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের কাজ মিলবে, বা অন্ন সংস্থান হবে তা নিশ্চিত করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা অবশ্য করেননি যোগী। যোগী জানিয়েছেন, রাজ্যেই পরিযায়ীদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার অভিবাসীদের কমিশন গঠন করবে। যোগী আদিত্যনাথ গণমাধ্যমের সঙ্গে এক অনলাইন কথোপকথনের সময় বলেন, “আমি আমার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি যে উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা উচিত।"

“আরও কিছু রাজ্য যদি এই জনশক্তি চায়, তবে আমরা তাদের বীমা এবং সামাজিক সুরক্ষা দেব। তবে অন্য রাজ্যগুলিতে আমাদের জনগণের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, সে কারণে ওই রাজ্যগুলি আমাদের অনুমতি ছাড়া এখান থেকে শ্রমিকদের নিতে পারবে না,” বলেন যোগী আদিত্যনাথ।

লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিক হতে শুরু হওয়ার পরেই কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি অভিবাসী শ্রমিকদের রাজ্যেই ধরে রাখতে চেষ্টা করছে। রাজ্য প্রশাসন বলছে যে নির্মাণ কাজ এবং শিল্পকর্ম শুরু হলেই তাদের প্রয়োজন পড়বে।

এমন অনেক খবরই শোনা গিয়েছে যে তামিলনাড়ুও অভিবাসী শ্রমিকদের অভিবাসন বন্ধ করার চেষ্টা করছে, যদিও অনেক শিল্পই এখনও তাদের বেতন দিতেই সক্ষম নয়।

যোগী আদিত্যনাথ জানান, যে কমিশন আসবে তারা অভিবাসী শ্রমিকদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেবে। তিনি আরও যোগ করেন, “অভিবাসী শ্রমিকরা যেখানেই যান আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব।" অন্যান্য রাজ্য থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লক্ষেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক উত্তর প্রদেশে ফিরে এসেছেন।

মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রেন বা বাসে বা ট্রাকে করে অবৈধভাবেই উত্তরপ্রদেশে ঢুকে পড়েছে। আরও অনেকেই অটো রিক্সায় করে বা পায়ে হেঁটে ফিরে এসেছেন। ওই একই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন যে, অভিবাসী শ্রমিকেরা যারা করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়ে উত্তরপ্রদেশে ফিরে এসেছেন, তারা রাজ্যের অন্যান্য রোগীদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদিও এই দাবির সমর্থনে কোনও তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।

“আমরা সচেতন রয়েছি যে পরিযায়ী শ্রমিকরা সংক্রমণ বাড়াবে। তবে শ্রমিকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায় রয়েছে। আপনারা ফলাফল দেখুন। একজন স্বাভাবিক মানুষের সেরে উঠতে ১৪ থেকে ২০ দিন লাগছে, কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকেরা সাত-আট দিন পরেই করোনা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। এটা একটি বড় শক্তি,” যোগী উবাচ।

উত্তরপ্রদেশে এই মুহূর্তে ৬,২০০ টিরও বেশি করোনা পজিটিভ ঘটনা রয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপুল সংখ্যায় ফিরতে শুরু করার পর থেকেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। ৩৫০০ এরও বেশি রোগী আরোগ্যলাভ করেছেন এবং ১৬১ জন রোগী মারা গেছেন।

.