This Article is From Oct 01, 2019

ধর্ষণে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের এবার চোখের সমস্যা, তবুও যেতে হল শ্রীঘরে

শাহজাহানপুর জেল সুপারিটেন্ডেন্ট পিটিআইকে জানান, সাধারণ বন্দিদের মতোই রাখা হয়েছে চিন্ময়ানন্দকে। এবং তাঁর স্বাস্থ্য এখন ভাল আছে।

ধর্ষণে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের এবার চোখের সমস্যা, তবুও যেতে হল শ্রীঘরে

গত আগস্ট মাসে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন এক তরুণী।

লখনউ/শাহজাহানপুর:

লখনউয়ের এক হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়াননন্দ (Chinmayanand) সোমবার শহরের আর এক হাসপাতালে গেলেন চোখের সমস্যা নিয়ে। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শাহজাহানপুরের তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের পরীক্ষা করছিলেন কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকরা। তাঁকে আবার ১৬ অক্টোবর আসতে বলা হয়েছে বলে ওই হাসপাতালের মিডিয়া ইনচার্জ ড. সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন। সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, চিন্ময়ানন্দ কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে পরে আসতে বলা হয়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি শাহজাহানপুর জেলা কারাগারে পৌঁছন।

হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়ে চিন্ময়ানন্দের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ড. সন্দীপ কুমার কোনও মন্তব্য করতে চান‌নি।

ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ আর দলের সদস্য নন, জানাল বিজেপি

সোমবার চিন্ময়ানন্দকে ছেড়ে দেওয়া হয় সঞ্জয় গান্ধি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হসপিটাল থেকে। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি সেখানে ভর্তি হ‌ন।

জেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগে চিকিৎসকরা বিজেপি নেতাকে তাঁর স্বাস্থ্যের কারণে লখনউ পাঠান অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার জন্য। শাহজাহানপুর জেল সুপারিটেন্ডেন্ট রাকেশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, সাধারণ বন্দিদের মতোই রাখা হয়েছে চিন্ময়ানন্দকে। এবং তাঁর স্বাস্থ্য এখন ভাল আছে।

চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

তিনি বলেন, ‘‘তিনি সকালে প্রাতঃরাশ করেছেন এবং তাঁর রুটিন অন্য বন্দিদের মতোই।''

গত আগস্ট মাসে অভিযোগ ওঠে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। কয়েক দিন‌ আগে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দ আর বিজেপির সদস্য নন। ঠিক কবে থেকে তাঁর বিজেপির সদস্যপদ বাতিল হল সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজেপির মুখপাত্র হরিশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘প্রশ্নটা তথ্যের নয় এবং আমরা কোনও নির্দিষ্ট তারিখও দিতে পারব না। কিন্তু চিন্ময়ানন্দ আর বিজেপির সদস্য নন।''

বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি। আনা হয়েছে ‘‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন সঙ্গম'' বা ‘‘যৌন সঙ্গম যা ধর্ষণের সঙ্গে শ্রেণিভুক্ত নয়''। এর ফলে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের পাঁচ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে। সঙ্গে জরিমানা। ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে পিছু নেওয়া, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা ও ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।

দেখুন ভিডিও

.