This Article is From Jun 18, 2019

স্কুলবাস চালককে সেনার "নিগ্রহ" দেখে বাচ্চাদের কান্নার ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

একটি ভিডিও, যাতে দেখা যাচ্ছে একটি স্কুল বাসের চালককে সেনারা মারছে দেখে বাচ্চারা কাঁদছে, সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছে।

স্কুলবাস চালককে সেনার

গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপরে জঙ্গি হামলার পর থেকে সেনার কড়াকড়ি আরও বেড়ে গিয়েছে।

শ্রীনগর:

একটি ভিডিও, যাতে দেখা যাচ্ছে একটি স্কুল বাসের চালককে সেনারা (Army) মারছে দেখে বাচ্চারা কাঁদছে, সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায়  সাড়া ফেলেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান প্রদেশের জাউরার ওই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা নিন্দা করেছেন সেনাবাহিনীর ‘স্বেচ্ছাচারী' আচরণের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। এক প্রতিবাদী ছাত্র অভিযোগ করেছে, ‘‘আমরা একটা ট্র্যাফিক জ্যামে ফেঁসে ছিলাম। হঠাৎ সেখানে সেনার এক কনভয় এসে পৌঁছয়। তারা আমাদের ড্রাইভার কাকুকে নিগ্রহ করেছে।'' চালক, জানা গিয়েছে তাঁর নাম গুলজার আহমেদ রাথার, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। ঘটনার সময় বাসে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল।

পুলওয়ামার থানায় গ্রেনেড ছুড়ল জঙ্গিরা, আশঙ্কাজনক ৩

এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘আমি স্কুল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দেখা করেছি ও এই ঘটনায় পদক্ষেপ করার ব্যাপারে কথা দিয়েছি। আমরা এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি।''

শোপিয়ান প্রদেশ জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যতম জঙ্গি অধ্যুষিত অঞ্চল। সেখানে নানা ট্র্যাফিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যখন সেনা কনভয় রাস্তা দিয়ে যায় তখন কোনও সাধারণ যানবাহনের সেখানে চলার নিয়ম নেই। গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপরে জঙ্গি হামলার পর থেকে এব্যাপারে কড়াকড়ি আরও বেড়ে গিয়েছে।

ওই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য প্রশাসন জম্মু-শ্রীনগর সড়কে সপ্তাহে দু'দিন সাধারণ যানবাহনের চলাফেরার জন্য বেঁধে দিয়েছিল। তবে গত মাসে ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আবার পরিবর্তিত করা হয়। কিন্তু এখনও সেনা কনভয় গেলে সাধারণ যানবাহনকে দাঁড়িয়ে যেতে হয়।

আর একটি ঘটনায় শ্রীনগরের নউগামে এক ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে এক সেনার উপরে। ওই ট্র্যাফিক পুলিশ একটি সেনার একটি বোমা-নিরোধক গাড়ি যাওয়ার সময় সাধারণ যানবাহনকে দাঁড় করাননি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

.