JEE Mains: "শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ জমে উঠেছে", প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন শিক্ষাবিদরা
নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে JEE, NEET পরীক্ষা আয়োজন প্রসঙ্গে দেশ জোড়া বিতর্কের মধ্যেই ভারত ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড় শতাধিক শিক্ষাবিদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) এই পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষেই সায় দিয়ে চিঠি লিখেছেন। তাঁদের মতে, মেডিকেল (JEE EXAM) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (NEET EXAM) জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) (JEE Mains) এবং নিট নিয়ে আরো দেরি করা মানে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোষ করা হয়ে যাবে। তাঁরা আরো লেখেন, "কিছু মানুষ নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করার চেষ্টা করছে।" প্রধানমন্ত্রীকে লেখা শিক্ষাবিদদের চিঠিতে একথাও বলা হয়েছে, "যুবসমাজ ও ছাত্রছাত্রীরা জাতির ভবিষ্যৎ, কিন্তু কোভিড -১৯ মহামারীজনিত পরিস্থিতিতে তাঁদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনেও অনিশ্চিয়তার মেঘ জমে উঠেছে। ভর্তি এবং পঠনপাঠন সম্পর্কে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তার প্রাথমিকভাবে সমাধান করা দরকার।"
প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঘরে বসে অধীর আগ্রহে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
"সরকার জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) এবং নিট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিয়েছে ... এখন পরীক্ষা নিতে আরও দেরি করা মানে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান একটি বছর নষ্ট হবে। আমাদের যুবসম্প্রদায় ও ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে কোনও মূল্যেই আপোষ করা যাবে না। তবে কেউ কেউ তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে এবং সরকারের বিরোধিতা করার জন্য আমাদের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলার চেষ্টা করছে", চিঠিতে বলা হয় একথাও।
ওই বিশেষ চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়,ইগনু, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, বিএইচইউ, আইআইটি দিল্লি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেন গুরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকী ইসরায়েলের মতো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত ভারতীয় শিক্ষাবিদরা।
"আমরা দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করি যে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সম্পর্কে যত্নশীল হবেএবং ২০২০-২১ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডারটি বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করেই জয়েন্টের মেন এবং নিট পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করবে।"
বুধবার জাতীয় পরীক্ষক সংস্থার প্রকাশিত অ্যাডমিট কার্ড ইতিমধ্যেই ডাউনলোড করেছে ১৪ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী।কিন্তু এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সমস্ত অ-বিজেপি রাজ্যগুলো একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।