হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুতহারে বাড়ছে
- ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৮,২০,৯১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে
- দেশে মোট ২২,১২৩ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস
নয়া দিল্লি: প্রতিদিনই যেন সংক্রমণের (Coronavirus in India) নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৭,১১৪ জন। সব মিলিয়ে ভারতে এই মারণ রোগে (Coronavirus) মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,২০,৯১৬ জনে। একদিনের মধ্যে সারা দেশে ৫১৯ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯ (Covid- 19)। ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ২২,১২৩ জনে। শুক্রবারই ভারতে কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ পেরিয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষে পৌঁছতে মাত্র ৪ দিন সময় লেগেছে। দেশে করোনা সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে শিউরে উঠতে হয়। কারণ করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ১ লক্ষে পৌঁছাতে ১১০ দিন সময় লেগেছিল, আর সেই সংখ্যা ৮ লক্ষের বেশি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৫২ দিন।
পশ্চিমবঙ্গেও দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,১৯৮ জন
দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই করোনা আক্রান্তের বিচারে তালিকায় পরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দিল্লি এবং তেলেঙ্গানা। তবে চিকিৎসা সহায়তায় এদেশে বহু করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে উঠছেন। সরকারি তথ্য মতে, সারা দেশে মোট ৫,১৫,৩৮৬ জন রোগী করোনার সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। ভারতে এই পুনরুদ্ধারের হার এখন ৬২.৭৮ শতাংশ।
ইডেনে কোয়ারান্টাইন সেন্টার গড়তে কলকাতা পুলিশকে অনুমতি দিল সিএবি
এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৭,৮৬২ জন, ফলে সেরাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২,৩৮,৪৬১ এ। সেরাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী ৯৫,৬৪৭ জন। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে দেখে রাজ্য সরকার ১৩ জুলাই থেকে পুণে জেলায় দশ দিনের কড়া লকডাউনের ঘোষণা করেছে। থানেতেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৯ জুলাই পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে।
তবে মুম্বইয়ের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল ধারাভি বস্তিতে যেভাবে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখে দেওয়া হয়েছে তা দেখে তারিফ না করে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অথচ এই বস্তিতেই বিপর্যয় হিসাবে দেখা দিতে পারতো করোনা সংক্রমণ, কিন্তু তা রুখতে সফল হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।