তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে গোপন যোগাযোগ আছে বলেও মনে করেন তিনি।
কলকাতা: সিঙ্গুর থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছল কৃষক মিছিল। সিপিএমের কৃষক সংগঠনের ডাকা মিছিলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পা মিলিয়েছেন বলে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে। মিছিল কলকাতা পৌঁছনোর পর রানি রাসমণি রোড সমাবেশও হল। সমাবেশ থেকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র একই সঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন। তাঁর দাবি এই দুটি দল রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে কাজ করতে ব্যর্থ। আর ব্যর্থতা ঢাকতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের খেলায় মেতে উঠেছে। রাজ্য সম্পাদকের মতে এর ফল মারাত্মক। একই সঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে গোপন যোগাযোগ আছে বলেও মনে করেন তিনি।
ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের তিন জায়গা থেকে তিনটি রথযাত্রা বের করবে বিজেপি। এই রথযাত্রা যাতে করা যেতে পারে তার জন্য আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে তারা। সে কথা উল্লেখ করে সূর্য বলেন আমরা বিজেপিকে বলতে চাই আপনারা যদি রথযাত্রা করে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষই রথধ্বংস করে দেবে।
সিঙ্গুর থেকে মিছিল করে ৫০,০০০ কৃষক ৫২ কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছলেন কলকাতায়
এ রাজ্যে সাড়ে তিন দশকের বাম সরকার পতনের নেপ্যথ্যে অনেককেই সিঙ্গুরের ছায়া দেখতে পান। কৃষি জমিতে শিল্প করতে গিয়েই বামেদের রাজ্য ছাড়া হতে হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন এখনও ওঠে নানা মহলে। আর এবার সেই সিঙ্গুর থেকে কৃষকদের দাবি নিয়ে মিছিল করল সিপিএম। বিরোধী আসনে বসার পর প্রথমবার। সিঙ্গুর থেকে কলকাতা আসার পথে বালিতে বৃহস্পতিবার রাতে থাকেন সিপিএম নেতা কর্মীরা। কাল আসবেন কলকাতায়, যাবেন রাজভবনে। মিছিলে পা মিলিয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। বাম নেতা কর্মীদের অনেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে মার্চের মুম্বই এবং দিল্লির পদযাত্রার মিল পাচ্ছেন। দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে নাসিক থেকে মুম্বই এসে পৌঁছেছিলেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার কৃষক। আর আজ কৃষক আন্দোলনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল দিল্লি।
ন কৃষকদের ৯ টি দাবিকে সামনে রেখে মিছিল করল সিপিএম। তার মধ্যে প্রথম দাবিটাই অবশ্য শিল্প সংক্রান্ত। রাজ্যে শিল্প করতে হবে। শিল্প না হলে কৃষকের পরিবাবের কেউ চাকরি করতে যেতে পারবে না।
দেখুন ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)