Read in English
This Article is From Dec 04, 2019

ফের মিছিলে ধুন্ধুমার! হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

Hindu Jagaran Manch: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের উপর হওয়া নানা হামলার প্রতিবাদে এই মিছিলটি শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডে পৌঁছানোর কথা ছিল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Clashes in Kolkata: ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে (প্রতীকী ছবি)

কলকাতা:

"অনুমতি নেই, তাই মিছিল করা যাবে না", এমন দাবি করে মিছিল রুখে দিতে চায় কলকাতা পুলিশ, আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন মিছিলের আয়োজনকারীরা। হ্যাঁ, ঠিক এই কারণেই বুধবার হঠাৎই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকাতার শিয়ালদহ অঞ্চল।  হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের দ্বারা আয়োজিত মিছিল মাঝ রাস্তাতেই থামিয়ে দেয় পুলিশ। আর তারপরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে (Clashes in Kolkata) জড়িয়ে পড়েন ওই সংগঠনের (Hindu Jagaran Manch) সদস্যরা। কলকাতা পুলিশের এক উর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রায় কয়েকশো সদস্য, তখনই তাঁদের রুখতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। জানা গেছে, পুলিশের (Kolkata police) সঙ্গে এই ঝামেলায় নাকি জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরাও ।

এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্য়েই ৬০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফকার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের উর্ধ্বতন আধিকারিক আরও জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসক (কেন্দ্রীয়) সুধীর কুমার নীলকান্তমের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

শয়তানদের শাস্ত্রের উল্লেখ করা উচিৎ নয়: বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ অধীর চৌধুরীর

শহরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের উপর হওয়া নানা হামলার প্রতিবাদে এই মিছিলটি শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডে পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই মিছিলটির পথ আটকায় পুলিশ, তারপরেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড।

Advertisement

মিছিল শুরুর আগেই শিয়ালদা স্টেশনের সামনে থেকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। যা ঘিরে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শিয়ালদা স্টেশন চত্বর ঘিরে রাখে পুলিশের বিশাল বাহিনী। মোতায়েন করা হয় র‌্যাফ, জলকামান। পুলিশের বাধা পেয়ে কৌশল বদলে এনআরএস হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এসএন ব্যানার্জি রোডে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ‘মৃদু লাঠিচার্জ' করতে হয় পুলিশকে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিনের মিছিলে ‘জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।

এনআরসি তালিকা আসলে বিজেপির "রাজনৈতিক চাল", বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

এই রাজ্যে কোনও কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে তিনি এও বলেন যে, বাংলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি করার চেষ্টা হতে পারে। বিশেষত আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৭তম বর্ষপূর্তিতে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত সেই কারণেই পুলিশ প্রশাসনকে প্রতি মুহূর্তে চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে হিন্দু জাগরণ মঞ্চকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোনোর চেষ্টা করেন তাঁরা, আর সেখান থেকেই ওই ধুন্ধুমার কাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

Advertisement