This Article is From Dec 21, 2019

সিএএ-র সমর্থনে এবার এগিয়ে এলেন শিক্ষাবিদ ও রিসার্চ স্কলার

সিএএ-র সমর্থনে এবার এগিয়ে এল অন্তত হাজার জন শিক্ষাবিদ ও রিসার্চ স্কলার।

সিএএ-র সমর্থনে এবার এগিয়ে এলেন শিক্ষাবিদ ও রিসার্চ স্কলার

মোদির পাশে শিক্ষার্থীরা

নয়া দিল্লি:

সিএএ-র সমর্থনে এবার এগিয়ে এল অন্তত হাজার জন শিক্ষাবিদ ও research scholars। এ বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi-র নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। যাতে লেখা: এই আইন আমাদের পড়শি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে। নেহরু-লিয়াকৎ ১৯৫০ সালের চুক্তির ব্যর্থতার পর এযাবৎকাল  কংগ্রেস-সিপিএম ও অন্য দলগুলি একসুরে পাকিস্তান  ও বাংলাদেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি জানিয়ে এসেছে। মূলত যাঁরা দলিত" এই বিবৃতির নিচে সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত, জেএনইউ'র রেজিস্ট্রার ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সুনয়না সিংয়ের স্বাক্ষর আছে।

ভারতীয় সংসদকে অভিনন্দন  জানিয়ে ওই বিবৃতিতে আরও লেখা: "অভিনন্দন ভারতীয় পার্লামেন্ট এবং ভারত সরকার। বিস্মৃত হয়ে যাওয়া সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন রীতিকে এই সিদ্ধান্ত আরও সমৃদ্ধ করবে। যাঁরা ধর্মীয় কারণে বাস্তুহারা তাঁদের বাস্তুর ব্যবস্থা করবে।"

এই বিবৃতিতে মোট ১১০০ জনের স্বাক্ষর আছে। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষাবিদ এবং রিসার্চ স্কলার। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে; উত্তর-পূর্বের কথা শুনে তা বিবেচনার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেটা সন্তোষজনক। আমরা বিশ্বাস করি সিএএ ধর্মনিরপক্ষে ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা কোনও ভাবেই অন্য রাষ্ট্রের যে বা যাঁরা ভারতের নাগরিক হতে আগ্রহী সেই ব্যক্তি বা ধর্ম বিশেষকে বাইরে রাখবে না। এমনকী আমরা আশা রাখি ভারতীয় নাগরিকত্বের নীতিকে উল্লঙ্ঘন করবে না। বিশেষ অবস্থার কথা মাথায় রেখে অন্যদের কাছে একটা বিশেষ জায়গা খুলে দেবে মাত্র। দেশব্যাপী চলা হিংসার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে এই বিবৃতিতে আবেদন করা হয়েছে: কোনও প্রকার মিথ্যা প্ররোচনা, ফাঁদ, সাম্প্রদায়িকতা ও নৈরাজ্যে পা দেবেন না। এটা দেখে আমরা খুবই ক্ষুব্ধ যে ইচ্ছাকৃত ভাবে একটা সন্ত্রাস ও বিভেদের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যার জেরে দেশের কিছু অংশে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।

যদিও সিএএ আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তর-পূর্বে প্রথমে প্রতিবাদ শুরু হয়। সে রাজ্যগুলির যাঁরা আদিবাসী; নতুন আইনে তাঁদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। এমনকী তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও হারাতে পারে। সেই সংশয় থেকে দীর্ঘ একসপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিল অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলো। পিছিয়ে ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। ট্রেনে হামলা, পথ অবরোধে রুদ্ধ হয়েছিল সে রাজ্য। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশ থেকে হিংসার কারণে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের প্রধান শাসক বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিএএ-র খসড়ায় বলা আছে; দেশের নাগরিকদের এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এই আইন সে সব সংখ্যালঘুদের সাহায্য করবে যাঁরা ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫-র আগে শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছে। যদিও সমালোচকরা বলছে এই আইন ভারতের মৌলিক ধর্মনিরপক্ষে কাঠামোর পরিপন্থী।

.