দশটি তদন্ত সংস্থা দেশের যে কোনও কম্পিউটারে হানা দিতে পারবে এ কথা জানার পর রাজনৈতিক মহলে তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি এ প্রসঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন।
তিনি লেখেন ভারতকে পুলিশ নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন মোদীজি। এক বিলিয়ন মানুষের দেশকে তিনি নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দেবেন। এরপর প্রধামন্ত্রীকে ভীত শাসক বলেও আক্রমণ করেন রাহুল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, এবার থেকে দশটি সরকারি সংস্থা দেশের যে কোন কম্পিউটারে হানা দিতে পারবে। গোয়েন্দা ব্যুরো, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্স, ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টিলিজেন্স, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা, জাতীয় তদন্ত সংস্থা, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, ডিরেক্টরেট অফ সিগনাল ইন্টিলিজেন্স, এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারেট চাইলে ভারতের যে কোন কম্পিউটারে স্টোর হওয়া যে কোন তথ্য ডিক্রিপ্ট করতে পারবে।
পাল্টা আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তৈরি করা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। শুধু বাইরে নয় সংসদের ভেতরে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রীইয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ এ ভাবে ভারতকে নজরদার রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।