This Article is From Jul 27, 2020

অমানবিক! প্রশাসনের গাফিলতিতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পড়ে করোনায় মৃতের দেহ

কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সাহাপুর রোডের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য

অমানবিক! প্রশাসনের গাফিলতিতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পড়ে করোনায় মৃতের দেহ

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে ৮০ কিমি দূরে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বন্দোবস্ত করা হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সেরও (প্রতীকী ছবি)

কলকাতা:

বনগাঁর পর বেহালার সাহাপুর ফের একবার মানবিকতার নজির গড়ল। অভিযোগ, প্রায় ১৪ ঘণ্টা পড়ে রইল করোনা রোগীর দেহ। উদ্ধারে আসেনি কেউ। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সাহাপুর রোডের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "আমার কানে ঘটনার খবর পৌঁছনো মাত্রই স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে তৎপর হতে বলেছি।" কিন্তু মৃতের পরিবারের অভিযোগ, "দরকার সময় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি স্থানীয় কাউন্সিলরকে।" পরিবারের ছোট ছেলের অভিযোগ, " আমার দাদা, স্ত্রী, কন্যা এবং শ্যালিকা সংক্রমণ ধরা পড়ে শুক্রবার। তারপর মধ্যরাতে মৃত্যু হয় দাদার। তারপর থেকেই সাহায্য চেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডলের দ্বারস্থ হয়ে ফোন করি। কিন্তু কোনও জবাব পায়নি। ফোন করা হয় স্বাস্থ্য দফতরে। তারা বলে কাউন্সিলর ও পুলিশকে ফোন করুন। কিন্তু কোনও তরফ থেকেই সাহায্য না আসায় প্রায় ১২ ঘণ্টা পড়ে দেহ।"

এবিষয়ে এলাকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সঠিক হলে খুব গর্হিত কাজ করা হয়েছে। আমি বিধায়ক হিসেবে স্থানীয় থানা ও কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডলকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে আমি বিষয়টা তদারকি করছি।"

শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বনগাঁর (West Bengal) বাসিন্দা মাধব নারায়ণ দত্তের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে রাতের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার কোভিড হাসপাতালে রেফার করেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে ৮০ কিমি দূরে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বন্দোবস্ত করা হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সেরও। কিন্তু শেষপর্যন্ত কলকাতার হাসপাতালের চিকিৎসা পাওয়া হলো না ওই ব্যক্তির। কেননা গুরুতর অসুস্থ বছর আটষট্টির ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার জন্যে কাউকেই পাওয়া গেল না। ওই ব্যক্তির স্ত্রী বারবার সকলকে তাঁর স্বামীকে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠানোর বিষয়ে সাহায্য করার জন্যে কাতর আবেদন জানালেও সাড়া দেননি কেউ, এমনকী পিপিই স্যুট পরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স চালকও কোনও সাহায্য করেননি। ফলে বনগাঁর ওই হাসপাতালের বাইরেই মৃত্যু হয় বয়স্ক ওই দোকানদারের।

.