हिंदी में पढ़ें தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 10, 2019

খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সারাভানা ভবনের প্রতিষ্ঠাতার আজব দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

অক্সিজেন মাস্ক মুখে নিয়ে শীর্ষ আদালতকে তিনি আবেদন জানান যে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং হাসপাতালে থাকাকেই তাঁর জেলে থাকা হিসাবে মেনে নেওয়া হোক

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from Agencies)

Highlights

  • নিজের যাবজ্জীবনের সাজা বিবেচনা করার দাবি পি রাজাগোপালের
  • অপহরণ ও খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি
  • ২০০৯ সালে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিলেও গত ৭ জুলাই তিনি আত্মসমর্পণ করেন
চেন্নাই:

একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সারাভানা ভবনের মালিক পি রাজাগোপালের (P Rajagopal) আজব দাবি প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি আবেদন করেন যে তাঁকে কারাদণ্ডের শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া হোক এবং তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকাকেই জেলে থাকা হিসাবে মেনে নেওয়া হোক। সারাভানা ভবনেরই (Saravana Bhavan) এক কর্মচারীর স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্যে ওই কর্মচারীকেই হত্যার অভিযোগে রাজাগোপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় সেই পরিস্থিতির কথা আদালতের সামনে তুলে ধরে রাজাগোপাল আবেদন করেন যে তাঁর হাসপাতালের বন্দিদশাকেই জেলবন্দি হিসাবে মেনে নেওয়া হোক।তাঁর ওই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি এনভি রামন বলেন, “যদি তিনি এতই অসুস্থ থাকেন তো শুনানি চলাকালীন তাঁর অসুস্থতার কোনও চিহ্ন কেন দেখা গেল না?”

পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলির প্রশাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বিল পাস বিধানসভায়

এর আগে ২০০৯-এ রাজাগোপালকে জামিনে মুক্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট, কিন্তু গত ৭ জুলাই তিনি আত্মসমর্পণ করেন।সোমবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেন যে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। ২০০৪ সালে পি রাজাগোপালকে তাঁরই সংস্থার এক কর্মচারী শান্তাকুমারকে অপহরণ ও খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় আদালত। রাজাগোপাল ও তাঁর অন্য ৮ সহযোগীকে  ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান আদালতের বিচারক।কিন্তু তাঁর ৫ বছর পর ওই রায় খারিজ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট রাজাগোপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।রাজাগোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তাঁর সংস্থার কর্মচারী শান্তাকুমারের স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্যেই তাঁকে অপহরণ করে খুন করেন। কেননা রাজাগোপাল মনে করেছিলেন ওই মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁর জীবনে আরও সাফল্য আসবে।

Advertisement

বিস্ময় বালক! মাত্র ১৩ বছর বয়সেই যোগী আদিত্যনাথের জীবনীসহ শতাধিক বইয়ের লেখক

১৯৯০ সালে নিজের জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুসারেই জীবজ্যোতি নামে ওই মহিলাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওই কাণ্ড ঘটান সারাভানা ভবনের মালিক।জানা গেছে, জীবজ্যোতির বিয়ের আগেও তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজাগোপাল। কিন্তু দুই স্ত্রী সমেত বিবাহিত রাজাগোপালের ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন জীবজ্যোতি।পরে ১৯৯৯ সালে শান্তাকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় জীবজ্যোতির।আদালতে আইনজীবী জানান রাজাগোপাল জীবজ্যোতির বিয়ের পরেও ওই বিবাহিত দম্পতিকে লাগাতার ভয় দেখাতেন ও তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্যে চাপ দিতে থাকেন।এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে ওই দম্পতি অভিযোগ জানালে তার পরের দিনই জীবজ্যোতির স্বামীকে অপহরণ করেন রাজাগোপাল ও পরে তাঁকে খুনও করেন। ওই কর্মচারীর দেহ কোদাইকানালের জঙ্গলে পাওয়া যায়।

Advertisement

রেস্টুরেন্ট চেন সারাভানা ভবনের দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ২০ টি আউটলেট রয়েছে।ওই সারাভানা ভবনেরই প্রতিষ্ঠাতা মালিক হলেন পি রাজাগোপাল।

Advertisement

Advertisement