This Article is From Jan 23, 2020

‘‘আসল টুকরে টুকরে গ্যাং’’: কেন্দ্রকে আক্রমণ পি চিদাম্বরমের

বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে (Democracy Index) ভারতের দশ স্থান নেমে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন পি চিদাম্বরম।

‘‘আসল টুকরে টুকরে গ্যাং’’: কেন্দ্রকে আক্রমণ পি চিদাম্বরমের

চিদাম্বরম দাবি করেন, ‘‘ভারত যেদিকে চলেছে তা দেখে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন।’’

হাইলাইটস

  • কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন পি চিদাম্বরম
  • বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ভারতের দশ স্থান নেমে গিয়েছে
  • এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন পি চিদাম্বরম
নয়াদিল্লি:

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) বিজেপি (BJP) সরকারকে আক্রমণ করলেন বৃহস্পতিবার। তিনি অভিযোগ করলেন, গত দু'বছর ধরে দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চূর্ণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে (Democracy Index) ভারতের দশ স্থান নেমে যাওয়ার জন্যও সরকারকে দায়ী করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি দাবি করলেন, ‘‘যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন'' , তাঁরাই প্রকৃত ‘‘টুকরে টুকরে গ্যাং''। প্রসঙ্গত, বাম দলগুলিকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং' নামে ডাকে দক্ষিণপন্থী দলগুলি। ২০১৬ সালে জেএনইউতে এক অনুষ্ঠানে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হলে এই নামকরণ করা হয়।

চিদাম্বরম টুইট করে লেখেন, ‘‘ভারত দশ ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে গণতন্ত্র সূচকে। গত দু'বছর ধরে কী ঘটছে এটা যিনি খেয়ালে রেখেছেন, তিনি জানেন গণতন্ত্র ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। যাঁরা ক্ষমতাই রয়েছেন, তাঁরাই আসল টুকরে টুকরে গ্যাং।''

‘‘বিজেপির আদর্শকে প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে দিতে চাই'': প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জেপি নাড্ডা

তি‌নি আরও জানান, ‘‘ভারত যেদিকে চলেছে তা দেখে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন প্রতিটি দেশপ্রেমিক ভারতীয়ও।''

ভারত বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ৫১ নম্বরে নেমে এসেছে। ভারতের এই অধঃপতনের জন্য ভারত সরকারের সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে ‘দ্য ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স' বা ইআইইউ। এর মধ্যে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি ইত্যাদি রয়েছে। ১০-এ ৬.৯ পেয়েছে ভারত। যা ২০০৬ সালের পর তাদের প্রাপ্ত পয়েন্টের বিচারে সর্বনিম্ন।

CAA: "আজাদি" স্লোগান দিলেই "দেশদ্রোহী", হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

এদিকে গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। মেবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু রাজনীতিবিদকে আটক করা হয়। কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। কিন্তু এখনও বহু নেতা, যার মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন, তাঁরা আটক রয়েছেন। কংগ্রেস কেন্দ্রের এই কাশ্মীর পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে প্রথম থেকেই। 

.