আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ১০৫ দিন জেলবন্দি ছিলেন P Chidambaram
নয়া দিল্লি: পি চিদাম্বরমকে (P Chidambaram) জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, ১০৫ দিন জেলবন্দি থাকার পর আপাত স্বস্তি তাঁর। প্রায় ৩ মাস পরে বাইরের মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস নেবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারের প্রায় তিন মাস পর জামিন পেলেন তিনি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদাম্বরম বন্দি অবস্থায় থাকা ১০৫ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ দিন কাটিয়েছেন দিল্লির তিহার জেলেই। তবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জামিন দেওয়ার সময় এই শর্ত রেখেছে যে তিনি এর মধ্যে কোনওভাবেই দেশ ছাড়তে পারবেন না এবং যখনই প্রয়োজন হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। পি চিদাম্বরমের পুত্র কার্তি চিদাম্বরম একটি স্মাইলি দিয়ে টুইট করেছেন, "উফ! শেষ পর্যন্ত ১০৬ দিন পরে..." । কংগ্রেস টুইট করে: "অবশেষে সত্যের জয় হল # সত্যমেবজয়তে"।
সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের সমালোচনা করে উল্লেখ করে যে পি চিদাম্বরমের "৩ টি পরীক্ষা" তাঁর অনুকূলে গেছে - তিনি গা ঢাকা দেননি, তথ্য প্রমাণ নিয়ে কোনও ছলনা করেননি এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।
এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চিদাম্বরম। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দায়ের করা ওই আবেদনের বিষয়ে ২৮ নভেম্বর রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
তদন্তকারীসংস্থার আর্জি খারিজ, ফের তিহার জেলেই পি চিদাম্বরম
আদালতে সওয়াল-জবাব চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) দাবি করেযে ৭৪ বছর বয়সী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী হেফাজতে থেকেও মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের উপর "যথেষ্ট প্রভাব" বিস্তার করে রেখেছেন। কিন্তু পি চিদাম্বরম যুক্তি দেন যে এই ভাবে ওই তদন্তসংস্থা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার এবং সুখ্যাতি "নষ্ট" করতে পারে না।
গত ২১ আগস্ট সিবিআই গ্রেফতার করে পি চিদাম্বরমকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি ওই মামলার সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচারের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে ১৬ অক্টোবর গ্রেফতার করে।
জামিনের আবেদনের শুনানির আগে জেলে গিয়ে চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সুপ্রিম কোর্ট বুধবার পি চিদাম্বরমকে জামিন দিলেও তদন্তকারী সংস্থাগুলি বারবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ছিল, তাদের যুক্তি ছিল যে অর্থ পাচারের মতো অর্থনৈতিক অপরাধ একটি গুরুতর অপরাধ, কারণ এই ধরণের অপরাধ দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয়, বিশেষত ক্ষমতাবান বা প্রভাবশালী লোকেরা যদি এই ধরণের অপরাধ করে।
তবে পি চিদাম্বরমের দলীয় সহকর্মী এবং প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং এএম সিংভি বলেন যে, চিদাম্বরম যে ওই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তার কোনও প্রমাণ নেই বা তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছেন বা কোনও প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেছেন এমন ঘটনারও নজির নেই।
নজর রাখুন এই খবরগুলিতেও: