পি চিদাম্বরম বলেন, বিজেপি অপরাজেয় নয় (ফাইল) (ফাইল)
নয়াদিল্লি: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Election) বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-আরজেডি জোট (Congress-JMM-RJD Alliance), তারপরেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে একহাত নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) । ট্যুইটে তিনি লেখেন, “হরিয়ানায় টাপে, মহারাষ্ট্রে প্রত্যাখাত, ঝাড়খণ্ডে পরাজিত। ২০১৯-এ এটাই বিজেপির কাহিনী। সমস্ত অবিজেপি দলের উচিত, তাদের চোখ খোলা এবং ভারতের সংবিধান রক্ষায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে একত্রিত হওয়া”, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জোটের পক্ষে ফলাফলের ইঙ্গিত পেতেই ট্যুইট করেন তিনি।
২০১৪ নির্বাচনে হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি, সরকার গড়তে দুষ্মন্ত চৌটালার সমর্থন নিতে হয়েছে। মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও, সংখ্যা জোগাড় করতে না পারায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়, পরে শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ে শিবসেনা।
দুবছর আগে, দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। তবে পরে তারা হেরেছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড।
আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে চলতি বছরের গোড়ার দিকে, জামিন পান পি চিদাম্বরম, চেন্নাইয়ে ডিএমকের প্রতিবাদ পদযাত্রায় সামিল হন, তিনি বলেন, বিজেপি অপরাজেয় নয়।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “বিজেপি অপরাজেয় নয়। সমস্ত বিরোধী দল যদি একজোট হয়, তারা যদি দেশের বিপদ বুঝে একত্রিত হয়, অবশ্যই বিজেপিক হারানো যাবে, এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনেও হারবে বিজেপি”।
ঝাড়খণ্ডে ৩০ আসনে জয়লাভ করেছে জেএমএম, কংগ্রেস জিতেছে ১৫টি আসনে। আরও ১২টিতে এগিয়ে কংগ্রেস, বিজেপি ২৫টিতে।
পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি। দলের সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষের রায়কে সম্মান করে দল”।