সোমবার সকালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা টুইট করেন।
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) এই মুহূর্তে রযেছেন দিল্লির তিহার জেলে (Tihar)। সেখান থেকেই তিনি (Chidambaram) টুইট করছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে প্রসঙ্গে। সোমবার সকালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা টুইট করেন, ‘‘আমি আমার পরিবারকে অনুরোধ করেছি আমার পক্ষ থেকে টুইট করতে। আমাকে লোকেরা জিজ্ঞেস করে, যেসব আধিকারিকরা এই লেনদেনের ছাড়পত্র দিতে আপনাকে সুপারিশ করল তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। তাহলে আপনাকে কেন গ্রেফতার করা হল? শেষ সইটা যেহেতু আপনার, সেই জন্য? আমার কাছে কোনও উত্তর নেই।'' তিনি আরও লেখেন, ‘‘কোনও আধিকারিকই ভুল করেননি। আমি চাই না কাউকে গ্রেফতার করা হোক।''
৭৪ বছরের চিদাম্বরমকে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালত তিহার জেলে পাঠায়। তার আগে ১৪ দিন তিনি সিবিআই হেফাজতে ছিলেন।
‘‘কেবল অসম নয় গোটা দেশেই কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী থাকবে না'': অমিত শাহ
পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।
জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় উৎসাহিত করতে আর্মির পদক্ষেপ
চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলের নাম জানিয়েছেন আইএনএক্স-এর যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তাঁদের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করেছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা জেলে রয়েছেন। যদিও চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চিদাম্বরেমর এই টুইট থেকে পরিষ্কার, তিনি বাকি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে কেউ ভুল করেননি জানিয়ে ইঙ্গিত করলেন তাঁর গ্রেফতারি ও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সবই ভিত্তিহীন।
এর আগে চিদাম্বরম রাহুল গান্ধির করা একটি টুইট রিটুইট করেন। তাতে রাহুল লিখেছিলেন, ‘‘অভিন্দন মোদি সরকার। ১০০ দিন কোনও বিকাশ নেই। গণতন্ত্রের ধ্বংসলীলা চলছে, কৃষকদের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে।'' এছাড়াও বিপন্ন অর্থনীতিকে তুলে ধরতে যে উদ্যোগ প্রয়োজন, তারও কোনও পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেন রাহুল। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধি।