P Chidambaram আদালতে বলেন, ‘‘এমন কোনও প্রশ্ন নেই, যার উত্তর আমি দিইনি।’’
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী P Chidambaram তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ২০০৭ সালে INX Media-র সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়া পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বুধবার রাতে নাটকীয় ভাবে তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁকে তোলা হলে তিনি বলেন, ‘‘অনুগ্রহ করে দেখুন প্রশ্ন ও উত্তরগুলি। এমন কোনও প্রশ্ন নেই, যার উত্তর আমি দিইনি। আমাকে ওঁরা প্রশ্ন করেন বিদেশে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা, আমি বলেছি না। ওঁরা প্রশ্ন করেন বিদেশে আমার ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা, আমি বলেছি হ্যাঁ।''
বৃহস্পতিবার সকালে চিদাম্বরমকে সিবিআই সদর দফতরে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়। তিনি বিচারককে বলেন, তাঁকে সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখার কোনও কারণ নেই কেননা এই মামলায় নতুন কোনও উন্নতি হয়নি। পাশাপাশি তিনি বলেন, তিনি প্রমাণ নষ্ট করেননি অথবা তাঁর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আদালত অবশ্য তাঁকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিদিন তাঁর পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
P Chidambaram Arrest: পি চিদাম্বরমকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের
আদালতে চিদাম্বরমের কথা বলতে চাওয়ার অনুরোধের বিরোধিতা করেন বিরোধী আইনজীবী তুষার মেহতা। তবে আদালত শেষ পর্যন্ত তাঁকে অনুমতি দেয়।
পি চিদাম্বরমকে পাঁচদিনের জন্য তাদের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।
‘‘প্রক্রিয়া ভুল, দুঃখজনক'': চিদাম্বরমের গ্রেফতারি নিয়ে Mamata Banerjee
ডিফেন্স কাউন্সিলের দাবি, চিদাম্বরম সহযোগিতা করছেন না এই অভিযোগ সঠিক নয়। যেহেতু তিনি সেই ভাবে উত্তর দিচ্ছেন না সিবিআইয়ের প্রশ্নের, যেভাবে গোয়েন্দা সংস্থা চাইছে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা যায় না।
সূত্র থেকে NDTV জানতে পেরেছে, আইএনএক্স-এর ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, যিনি মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগে জেলে বন্দি, তিনি সেই সময় আইএনএক্স-এর শীর্ষস্থানে ছিলেন, তিনি ইডিকে জানিয়েছিলেন চিদাম্বরম তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদেশি বিনিয়োগের বিনিময়ে কার্তিকে ব্যবসায় সাহায্য করতে। পাশাপাশি কার্তিকে ঘুষও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ইন্দ্রাণীর।
একজন খুনের আসামীর কথার উপরে কেবলমাত্র নির্ভর করে মামলা সাজানোয় প্রশ্ন তুলেছেন চিদাম্বরম । কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিও জানিয়েছেন, ‘‘এই মামলা তৈরি হয়েছে আর একজন অভিযুক্তের করা ডায়রি ও বিবৃতির উপরে নির্ভর করে।''