প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মতে, এসবিআইয়ের সাহায্যে ইয়েস ব্যাংককে চাঙ্গা করার সিদ্ধান্তে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।
হাইলাইটস
- ইয়েস ব্যাঙ্ক সঙ্কটে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন পি চিদাম্বরম
- "শূন্য শেয়ার, এমন একটা সংস্থাকে কী ভাবে অধিগ্রহণ করতে পারে এসবিআই"
- শনিবার প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: ইয়েস ব্যাংক (Yes Bank Crisis) সঙ্কট-কাণ্ডে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মতে, এসবিআইয়ের সাহায্যে ইয়েস ব্যাঙ্ককে চাঙ্গা করার সিদ্ধান্তে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তাঁর যুক্তি, "ইয়েস ব্যাংককে অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসবিআই (SBI)। তাও শেয়ারপিছু ১০ টাকা মূল্যে। ইয়েস ব্যাঙ্কের এখন বাজারে শেয়ার মূল্য শূন্য। তাই কোন পরিকল্পনা থেকে এসবিআই স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিল আমার ধারণা নেই। ঠিক যেভাবে এলআইসি-কে বাধ্য করা হয়েছিল আইডিবিআইয়ের শেয়ার কিনতে।" তিনি দাবি করেছেন, পরিকল্পনাহীন লোন বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু সেই লোন, বাজার থেকে কীভাবে ব্যাংকের কোষাগারে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তার দিশা দেখানো ছিল না।
নির্ভয়া মামলার আসামি মুকেশ সিংয়ের নয়া চাল, ফাঁসি রুখতে আইনজীবীর বাহানা!
এদিকে শুক্রবারই ইয়েস ব্যাংককে দেউলিয়ার হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মোরাটরিয়াম ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংকও। পাশাপাশি তিনি পুরো ঘটনার দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারের ঘাড়ে। নাম না করে সেদিন কাঠগড়ায় তুলেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিকে।
সেই কটাক্ষের জবাবে এদিন পি চিদাম্বরম বলেন, "মাঝে মাঝে আমি যখন অর্থমন্ত্রীর কথা শুনি, ভাবি এখনও ইউপিএ ক্ষমতায় আছে। আমি এখনও অর্থমন্ত্রী আর উনি বিরোধী বেঞ্চে।" তাঁর দাবি, এটা অব্যবস্থা। একটা সঙ্কট ঢাকতে, ভবিষ্যতের জন্য আর একটা সঙ্কটের পথ খুলে দেওয়া।
পুলওয়ামা হামলার জন্যে বোমা তৈরি করতে আমাজন থেকে নাকি কেনা হয় রাসায়নিক!
ইয়েস ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে আসরে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। ওই ব্যাংকটি যাতে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার জন্যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে চান তাঁরা, শুক্রবারই জানিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার শনিবার জানান, ইয়েস ব্যাংকের পুনর্গঠন পরিকল্পনায় আরবিআইয়ের পাশে থেকে ওই ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চান তাঁরা। এই বিষয়ে এসবিআই আগামী সোমবারের মধ্যে আরবিআইয়ের কাছে আবেদন করবে। মূলধন সমস্যা এবং বিপুল অনাদায়ী ঋণের ভারে জর্জরিত ইয়েস ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলার উপরে বৃহস্পতিবারই নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের শীর্ষ ব্যাংক ।
২০২০ এর ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই নয়া নিয়ম লাগু থাকবে বলে জানায় আরবিআই। নয়া ওই ঘোষণার পর ইয়েস ব্যাংকের শেয়ার বাজারে ধস নামে, ৮৫ শতাংশ কমে যায় তাদের শেয়ারের দাম।