নয়া দিল্লি: দুর্নীতি মামলায় (INX Media Case) ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল পি চিদাম্বরমের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। ফলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন বলে দিল্লির একটি আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) জানিয়েছে। তবে আদালতের কাছে তিনি বাড়ি থেকে খাবার আনার জন্যে অনুমতি চেয়েছেন। প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতা (P Chidambaram) আগেও এ ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর এই অনুরোধে যদিও কোনও আপত্তি জানায়নি তদন্ত সংস্থা সিবিআই। এবার আদালতের অনুমতি মিললে ৭৩ বছর বয়সী চিদাম্বরম (Chidambaram) দিনে দুবার বাড়ি থেকে পাঠানো নিরামিষ খাবার খেতে পারবেন।
পাশাপাশি পি চিদাম্বরমের আইনজীবীরা প্রবীণ ওই নেতার জন্যে দিনে দু'বার মেডিক্যাল চেক আপের অনুরোধ জানান, আইনজীবীদের এই আবেদনকেও সিবিআই সমর্থন করেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট পি চিদাম্বরমের জামিনের আবেদন খারিজ করার পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয় বৃহস্পতিবার। আদালত বলেছে, প্রাক্তন মন্ত্রী মুক্তি পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।
আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন চিদাম্বরমের
বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি থাকা পি চিদাম্বরমের হয়ে দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট বলে যদিও পি চিদাম্বরমের পক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করার কোনও সম্ভাবনা নেই। "তবে তদন্ত যেহেতু উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তাই পি চিদাম্বরম একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাঁর পক্ষে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না", বলে আদালত। তারপরেই বৃহস্পতিবার চিদাম্বরমের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার বোর্ডে (এফআইপিবি) ৩০৫ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । ২০০৭ সালে আইএনএক্স মিডিয়ার জন্যে যখন ওই বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পাস হয় তিনি তখন দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন, অভিযোগ তাঁর অনুমতিতেই ৩০৫ কোটি টাকা ঢোকে আইএনএক্স মিডিয়ার ঘরে। ওই অভিযোগও উঠেছে যে তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের অনুরোধেই ওই কাজ করেন পি চিদাম্বরম এবং বিনিময়ে কার্তি মোটা অঙ্কের ঘুষ নেন।
পি চিদাম্বরমের জামিন নয়, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, বলল দিল্লি হাইকোর্ট
পি চিদাম্বরমের নাম করেন, আইনএক্স মিডিয়ার সহ প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তাঁরা।