কামরার দরজা খোলা (Door Open)। যাত্রী নিয়ে এগিয়ে চলেছে মেট্রো (Metro)। খোলা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আরপিএফ ও দুই মেট্রো কর্মী। বিপদ থেকে সচেতন করছেন তারা। এইভাবেই ২২টি স্টেশন অতিক্রম করল ‘কলকাতার গর্ব' মেট্রো। কামরার যাত্রীরা তো হতবাক। বুধবার সকাল তখন ১০.২৪। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রোয় (Metro) ধরা পড়ল এই দৃশ্য। তবে কোনও স্টেশন থেকেই ওই কামরা আর কোনও যাত্রীকে উঠতে দেওয়া হয়নি। ফের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে দায় এড়াচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কেন ওই মেট্রোটি ব্যস্ত সময়ে চালানো হল? কলকাতা মেট্রো আধিকারিকদের দাবি, ‘‘একটা মেট্রো বন্ধ করলে ভিড়ের সময়ে অসুবিধার মুখে পড়তে হত। তাই নির্দিষ্ট তিনজনকে খোলা দরজার সামনে দাঁড় করিয়েই মেট্রো চালানো হয়েছে।'' কর্তৃপক্ষের মতে, ‘‘বিপদ ছাড়াই ট্রেনটিকে গন্তব্যে পৌঁছানো গিয়েছে।''
ফের মেট্রোর দরজায় হাত আটকাল এক ব্যক্তির
কবি সুভাষে পৌঁছানোর পরই ওই মেট্রো রেকটিকে কারশেডে (car shed) পাটানো হয়। এর আগে বহুবার যান্ত্রিক ত্রুটির নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু তাতে যে কাজ হয়নি এদিনের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
ভারতে প্রথম জলের তলায় মেট্রো চলাচল! শুরু হবে শীঘ্রই, জানালেন রেলমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
গত জুলাই মাসেই মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ হওযার পর আর না খোলায় এক ব্যক্তির প্রাণ যায়। দরজায় আঙুল আটকে যাওয়ায় ট্রেনের বাইরে ঝুলতে হয় যাত্রীকে। তারপর ধাক্কায় মারা যান তিনি।