Read in English
This Article is From Nov 01, 2018

পাক-চিনের মধ্যে বাস পরিষেবা, তীব্র বিরোধিতা ভারতের

 পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে বুধবার তীব্র বিরোধিতা করল ভারত।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ভারত সরকার ওই বিশেষ পথটিকে কোনওদিনই স্বীকৃতি দেয়নি", বলেন রাভিশ কুমার। 

Highlights

  • পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে বাস পরিষেবা চালুর তীব্র বিরোধিতায় ভারত
  • আগামী শনিবার থেকে লাহোর হয়ে চলবে বাস
  • চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর ভারত বহুদিন ধরেই সরব
নিউ দিল্লি :

 পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে বুধবার তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। আগামী শনিবার পাকিস্তানের লাহোর থেকে চিনের একদম পশ্চিমের শহর জিনজিয়াং পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, এই বাস যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাস্তা দিয়ে।

"আমরা চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু করার তীব্র বিরোধিতা করেছি। চিন ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সীমান্তের মধ্যে দিয়ে এই বাস পরিষেবাটি চালু হবে। বাসটি যাবে পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর দিয়ে", সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার।

এই চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপেক প্রকল্প নিয়ে ভারত বহুদিন ধরেই সরব। তার কারণ, এই করিডোরটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে অংশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাকে ভারত নিজেদের অংশ বলেই মনে করে। তার ফলে, ওই জায়গাটি ভারতের মধ্যেই পড়ছে। "1963 সালে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল, তাকে ভারত চিরকালই অবৈধ বলে মনে করে এসেছে। ভারত সরকার ওই বিশেষ পথটিকে কোনওদিনই স্বীকৃতি দেয়নি", বলেন রাভিশ কুমার। 

Advertisement

"তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে এমন বাস পরিষেবা চালু হলে তাকে ভারত নিজের সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রের অখণ্ডতার ওপর আক্রমণ বলেই মনে করে", বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে কোনও সীমান্ত নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে কেবল একটি রাস্তা চলে গিয়েছে, যা ভৌগলিকভাবে পাকিস্তান ও চিনের যোগাযোগ তৈরি করতে পারে স্থলপথে।

Advertisement
Advertisement