This Article is From Oct 10, 2019

এক সপ্তাহে টানা ৩ বার! পাঞ্জাবের আকাশে ফের পাকিস্তানি ড্রোন বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

গত মাসে, দশ দিনের মধ্যে ড্রোন থেকে আটটি জায়গায় একে -৪ রাইফেল, গ্রেনেড এবং স্যাটেলাইট ফোন ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ।

এক সপ্তাহে টানা ৩ বার! পাঞ্জাবের আকাশে ফের পাকিস্তানি ড্রোন বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

এই সপ্তাহে বেশ কয়েকবার সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে (প্রতীকী)

নয়াদিল্লি:

বুধবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার (Ferozepur district) আকাশে ফের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (BSF) কর্মীরা পাকিস্তানের একটি ড্রোন (Pakistan-origin drone) লক্ষ্য করেছেন। গত তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই অঞ্চলে ড্রোন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭.২০ নাগাদ মিনিটে হাজারসিংহ ওয়ালা গ্রামের আকাশে ওই ড্রোন দেখা যায়। তারপর রাত ১০.১০ মিনিটে ফের টেন্ডিওয়ালা গ্রামেও ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে তিনবার ড্রোন দেখা যায় আকাশে। এদের মধ্যে একটি ড্রোন ভারতের আকাশসীমার এক কিলোমিটারের মধ্যেই উড়ছিল। মধ্যরাতের দিকে অবশ্য উধাও হয়ে যায় ড্রোনটি। এর আগে ওই একই রাতে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের পাকিস্তান অংশের কাছে আরও ড্রোন লক্ষ্য করেন।

 ফের পাকিস্তানের দিক থেকে পাঞ্জাবে প্রবেশ করল ড্রোন, তল্লাশি শুরু

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জেলা পুলিশ সুপার সুখবিন্দর সিং বলেন, “গত দু'দিন ধরে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি একটি ড্রোন জাতীয় বস্তুকে ঘুরে বেড়াতে দেখি। আমরা তদন্তের জন্য দল গঠন করেছি এবং বিএসএফ-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি।” গত মাসে, দশ দিনের মধ্যে ড্রোন থেকে আটটি জায়গায় একে -৪ রাইফেল, গ্রেনেড এবং স্যাটেলাইট ফোন ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। ড্রোনগুলির প্রত্যেকটিতে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন বওয়া সম্ভব। সনাক্তকরণ এড়াতে দ্রুত এবং নিম্ন অংশ দিয়ে উড়ছিল ড্রোনগুলি।

পাকিস্তান ফিরে যেতে ব্যর্থ হলে একটি ড্রোনকে পুলিশ উদ্ধারও করেছিল। ড্রোনটি একটি ধানের জমির নীচে লুকিয়ে ছিল। “এই ড্রোন কোনও ত্রুটির কারণে পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারেনি, সুতরাং অভিযুক্তরা এটি আটারি সীমান্তের নিকটবর্তী একটি গ্রামে লুকিয়ে রেখেছিল,” কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন। ওই কর্মকর্তাদের বিশ্বাস যে, অস্ত্রগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের জন্যই ফেলা হয়েছিল, ৫ আগস্ট ধারা ৩৭০ এর অধীনে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে কাশ্মীরে ব্যপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পাঞ্জাবে উদ্ধার পাক ড্রোন, জঙ্গি সন্দেহে আটক এক

পাকিস্তান এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সামনে চেষ্টা করেছে বিষয়টি উত্থাপনের, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসী শিবিরগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করেছে এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাসও রয়েছে। গত মাসে সেনাবাহিনী প্রধান বিপিন রাওয়াত জানান, ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী দ্বারা বোমাবর্ষণ করে উড়িয়ে দেওয়া বালাকোট সন্ত্রাসী শিবিরটিও ‘অতি সম্প্রতি' পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার পরে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ অপারেশন সুদর্শন দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত করার দাবি করা সত্ত্বেও ড্রোন দেখা যাওয়া ও অস্ত্রবর্ষণ হয়েছে।

.