ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে পাঁচ অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছে (ফাইল)
শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের কেরান সেক্টর(Keran sector) দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিমের(Pakistan Army's Border Action Team) অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বানচাল করল ভারতীয় সেনাবাহিনী।শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনার তরফে একথা জানানো হয়। ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে পাঁচ অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের হামলার লক্ষ্য ছিল কেরান সেক্টরের ফরোয়ার্ড পোস্ট। প্রকাশিত ছবিতে দেখানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পড়ে রযেছে মৃতদেহ। যা পাক বিএটি-র বিভ্রান্তিমূলক কৌশল বলে দাবি ভারতীয় সেনার। গত কয়েকদিন থেকেই কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। শুক্রবারই তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। তাতে পাক যোগ স্পষ্ট বলে দাবি সেনাবাহিনীর। হামলা চালাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। এই আশঙ্কা করেই অমরনাথ যাত্রী ও পর্যটকদের উপত্যকা ছাডা়র পরামর্শ দেয় প্রশাসন। তারপরই কেরান সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বারতে প্রবেশের চেষ্টার খবর সামনে এল।
গত ৩৬ ঘণ্টায় ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে পাক সেনা প্রশিক্ষিত বর্ডার অ্যাকশন টিম(Border Action Team)। এর যোগ্য জবাব দিয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরা। দুতরফের তুমুল সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় সেনার(army) তরফে জানানো হয়, ‘পাকিস্তান মুখে এক কথা বলছে। কিন্তু তাদের কাজেই প্রমাণ জঙ্গি কাজে তারা মদত দিয়ে চলেছে। নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে সমস্ত ঘৃণ্য কার্যকলাপের জবাব দিচ্ছে ও দিতে থাকবে।'
উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এদিনের তল্লাশিতে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের চার সদস্যও নিহত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে একটি স্নিপার রাইফেল (rifle), ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস (IEDs) এবং পাকিস্তানি সংকেতযুক্ত মাইন উদ্ধার হয়।
গত কয়েকদিন থেকেই জম্মু কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। দুদফায় প্রায় প্রথমে ১০ হাজার, তারপরে আরও ২৮ হাজার সেনা জওয়ান পাঠানো হয়েছে কাশ্মীরে। ২৮০ কোম্পানি আধা সেনা ইতিমধ্যেই মোতায়েন হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সিআরপিএফের।