This Article is From Oct 07, 2019

ইমরান খানের উপর ক্ষুব্ধ সৌদি যুবরাজ! দাবি, একাই উড়ে যান ব্যক্তিগত জেটে

এমন দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন পাক সরকারের মুখপাত্র। তিনি বলেন, এটা মনগড়া কাহিনি।  পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে ভাল সম্পর্কই রয়েছে।

ইমরান খানের উপর ক্ষুব্ধ সৌদি যুবরাজ! দাবি, একাই উড়ে যান ব্যক্তিগত জেটে

প্রবন্ধের দাবি, চটে গিয়ে যুবরাজ ইমরানকে না নিয়েই দেশে ফেরেন।

ইসলামাবাদ:

এক পাকিস্তানের (Pakistan) পত্রিকার দাবি, সৌদি যুবরাজ (Saudi Crown Prince) মহম্মদ বিন সলমন গত মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সমাবেশে ‘‘বিচ্ছিন্ন'' হয়ে পড়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) আচরণের কারণে। এতে তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে পাকিস্তানের অতিথিকে ছাড়াই ব্যক্তিগত জেটে দেশে ফিরে যান। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৪তম সাধারণ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে ইমরান সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এরপর জেদ্দা বিমান বন্দর থেকে বাণিজ্যিক উড়ানে তাঁর নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহম্মদ বিন সলমনের অনুরোধে তিনি যুবরাজের সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত জেটে নিউ ইয়র্কে আসেন। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে ফেরার সময় সৌদির বিমানে সমস্যা হওয়ায় তাঁরা নিউ ইয়র্ক থেকে বাণিজ্যিক উড়ানেই দেশে ফেরেন।

‘‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান'': রিপোর্টে বলল FATF

কিন্তু গত ৪ অক্টোবর ‘টাইমস' সাপ্তাহিত পত্রিকা দাবি করে এক প্রবন্ধে যে, পাক প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক চালে নিউ ইয়র্কে পৌঁছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সৌদি যুবরাজ। তিনি ইমরানের এহেন ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হন। সৌদি যুবরাজকে এড়িয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইইপ এরদোয়ান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে একটি ইসলামিক ব্লক গঠনের চিন্তা থেকে আলাদা বৈঠক করেন ইমরান‌ খান। এছাড়াও যুবরাজের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি ইরানের সঙ্গেও আলোচনায় বসেন। এরপরই চটে গিয়ে যুবরাজ ইমরানকে না নিয়েই দেশে ফেরেন।

সমাবেশের ফাঁকে ইমরান তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে স্থির করেন, একসঙ্গে একটি চ্যানেল খোলার, যেটি বিবিসির মতো হবে। সেখানে মুসলমানদের সমস্যাকে তুলে ধরা হবে এবং ইসলাম-আতঙ্ক দূর করার চেষ্টাও করা হবে।

এছাড়া ও ওই সমাবেশ চলাকা‌লীন ইমরান জানান, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের অনুরোধে তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেনা কমাতে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য আলোচনা চা‌লাবেন।

‘টাইমস'-এর প্রবন্ধের দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন পাক সরকারের মুখপাত্র। তিনি বলেন, এটা মনগড়া কাহিনি।  তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি পুরোপুরি কল্পনা। পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে ভাল সম্পর্কই রয়েছে। তাঁর দাবি, ওই প্রতিবেদন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই প্রতিবেদনকে অস্বীকার করছি।''

দেখুন ভিডিও

.