পাঞ্জাবের বিরোধী, অকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর সিংহ একটা ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন।
হাইলাইটস
- ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে শুক্রবার হামলা চালায় জনতা।
- পড়শি দেশের তীর্থস্থানে হওয়া এই তাণ্ডব ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করছে ভারত
- অকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর সিং একটা ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের গুরুদ্বার নানকানা সাহিবে উন্মত্ত জনতার (Mob) তাণ্ডব! শুক্রবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করল ভারত। শিখ ধর্মগুরু গুরুনানকের (Gurunanak) জন্মস্থান এই নানকানা সাহিব। সেই ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে শুক্রবার হামলা চালায় জনতা। ভিতরে সে সময় উপস্থিত ছিলেন অনেক ভক্ত। তাঁদের লক্ষ্য করেই বাইরে থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় এক বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, পড়শি দেশের তীর্থস্থানে হওয়া এই তাণ্ডব ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করছে ভারত। অবিলম্বে পাকিস্তান সরকার সে দেশের শিখ ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করুক। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, "স্থানীয় এক কিশোরের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। যার বিরুদ্ধে ওই গুরুদ্বারের এক আধিকারিকের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।" তবে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই জনতাকে আটকাতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে,বলে এদিন জানিয়েছে এএনআই।
পঞ্জাবের বিরোধী অকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর সিং একটা ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতা ওই গুরুদ্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে শিখ-বিরোধী স্লোগান তুলছেন। ওই ভিডিও নিজের টুইটারে পোস্ট করে ওই বিধায়ক লেখেন, "নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের লাইভ ফুটেজ। দেখতে পাচ্ছি কয়েকজন উন্মত্ত মুসলিম, সাহিবের বাইরে দাঁড়িয়ে শিখ-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। অবিলম্বে এই সাম্প্রদায়িক কাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি ইমরান খানকে অনুরোধ করব। সে দেশের শিখ ধর্মালম্বী মানুষদের মনে আস্থা ফেরাতে সক্রিয় হোক পাকিস্তান সরকার।"
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি ইমরান খানের উদ্দেশে লেখেন, "পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, অবিলম্বে তিনি গুরুদ্বার নানকানা সাহিবে আটকে থাকা ভক্তদের উদ্ধারে সক্রিয় হন। আর ঐতিহাসিক ওই গুরুদ্বার রক্ষায় বাহিনী পাঠাক।" এদিকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও পাল্টা একটা ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যে ভিডিওতে ইমরান খান দাবি করেছেন, 'ভারতীয় পুলিশ, মুসলিমদের আক্রমণ করেছে।' যদিও পরে জানা যায় ওটা বাংলাদেশের ঘটনা। তারপরেই এই ভিডিও মুছে দেন তিনি।