অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করল পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাবাহিনী। আগামী অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে খরচ (Defence budget) কমানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। অর্থনীতির ফাঁসে পড়ে থাকা দেশের এমন পরিস্থিতির কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। মেজর জেনারেল আসিফ গফুর, পাকিস্তানের জন সংযোগ অধিকর্তা একটি টুইট করেছেন মঙ্গলবার। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী অর্থবর্ষের জন্য। তবে তা যে দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে করা হচ্ছে না, তাও জানিয়ে দেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘‘এক বছরের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে খরচ কমানো হল। কিন্তু প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে। সমস্ত বিপদের ক্ষেত্রেই কার্যকরী প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা হবে। কেবল অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।''
#SelfieWithSapling: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চারাগাছের সঙ্গে সেলফি নেওয়ার আহ্বান প্রকাশ জাভড়েকরের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মঙ্গলবার বলেন, দেশের অর্থনীতির কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা খাতে এই অতিরিক্ত খরচ সঙ্কোচনের বিষয়টিকে দারুণ ভাবে সমর্থন করছেন।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিবিধ চ্যালেঞ্জকে সামলেও এই পদক্ষেপ করার জন্য তিনি যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ, জানিয়ে দেন সেকথাও।
১০ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গির সংশোধিত তালিকা প্রস্তুত কেন্দ্রের
পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা মোটেই কোনও ছোট পদক্ষেপ নয়। একটি মজবুত নাগরিক-সেনা সংযোগের দ্বারাই পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতির গভীর সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব।''
গত ২৮ মে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্যের বিশেষ সহায়ক ফিরদৌস আশিক আওয়ান ঘোষণা করেন দেশের অভ্যন্তরীণ বাজেট ঘোষিত হবে আগামী ১১ জুন।
গত মাসে, সরকার ঘোষণা করেছিল ২০১৯-২০ সালের কঠোরতা-জর্জরিত অন্তর্বর্তী বাজেটে সমস্ত নাগরিক ও সেনা প্রতিষ্ঠানকে অবদান রাখতে হবে।
ইমরানের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হাফিজ শেখ বলেন, ‘‘আগামী বাজেট কঠিন হতে চলেছে। আমরা চেষ্টা করছি সরকারি ব্যয়কে যতটা সম্ভব কম রেখে চলতে।''
২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী সেনা খাতে ব্যয়ের হিসেবে পাকিস্তান কুড়ি নম্বরে। এপ্রিলে প্রকাশিত স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) হিসেব অনুযায়ী তাদের খরচ ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় অঙ্কে সেই খরচের পরিমাণ প্রায় ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯ সালে পাকিস্তানের সেনা খাতে খরচ হয় তাদের জিডিপি বা মোট দেশীয় পণ্যের ৪ শতাংশ। যা ২০০৪ সাল থেকে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। সুইডেনের এক সংস্থার হিসেব তেমনই।
সেনা তথা প্রতিরক্ষা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের খরচ ৬৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে তাদের সেনা খাতে খরচ গত দশক থেকে ১৭ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে।