This Article is From Jan 02, 2020

পাক উদ্বাস্তু উচ্চমাধ্যমিকে বসতে পারবে না,খতিয়ে দেখবেন রাজস্থানের মন্ত্রী

যেহেতু মেয়ে পাকিস্তান থেকে মাধ্যমিক দিয়েছে, তাই রাজস্থান শিক্ষা পর্ষদ, দামির উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম খারিজ করেছে।

পাক উদ্বাস্তু উচ্চমাধ্যমিকে বসতে পারবে না,খতিয়ে দেখবেন রাজস্থানের মন্ত্রী

পাকিস্তান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাকে মাধ্যমিকের শংসাপত্র প্রদান করে। এরপরেই তার পরিবার সংখ্যালঘু উদ্বাস্তু হিসেবে ভারতে চলে আসে। (ANI)

যোধপুর:

আগে মাধ্যমিকের প্রমাণ দাখিল করো, নয়তো উচ্চমাধ্যমিকে বসতে পারবে না। পরীক্ষার মাস কয়েক আগে রাজস্থান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের  (Board of Secondary Education) এমন নিদানে, বিপাকে পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তু দামি কোহলি। সে দেশের শিক্ষা পর্ষদের যোগ্যতা মেনে পাকিস্তানি এই সংখ্যালঘু কিশোরী মাধ্যমিক দিয়েছে। সেই শিক্ষা পর্ষদ (পাকিস্তান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ) তাকে মাধ্যমিকের শংসাপত্র (certificate) প্রদান করে। এরপরেই, সে ও তার পরিবার সংখ্যালঘু উদ্বাস্তু হিসেবে ভারতে চলে আসে। আদতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে সে দেশ ছেড়ে ভারতের শরণ নিতে বাধ্য হয় দামির পরিবার। পরিবারের তরফে এমন দাবি করা হয়েছে। তারা থাকতে শুরু করে যোধপুর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে অঙ্গনবা উদ্বাস্তু শিবিরে।  কিন্তু এবার রাজস্থান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, তাকে উচমাধ্যমিকে বসার অনুমতি দিতে মাধ্যমিকের যোগ্যতাপত্র চেয়েছে। এতেই বিপাকে ওই কিশোরী। যদিও সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং দোতাসারা বলেছেন, ওই কিশোরীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে।  এ ব্যাপারে সরকারি আইন সংশোধন করতে হবে কিনা খতিয়ে দেখবো।     


এদিকে হতাশ ওই কিশোরীর দাবি, 'অঙ্গনবা উদ্বাস্তু শিবির থেকেই আমি উচমাধ্যমিকের পড়াশুনা শুরু করি। ২০১৮ সালে স্থানীয় একটা স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশে ভর্তি হই। সেই বছর একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা পাসও করি। আমার কাছে সব পরীক্ষার মার্কশিট আছে।কিন্তু পর্ষদ (board exams) পরীক্ষার এক মাস আগে আমাকে বলছে, তোমাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।' "আমি এদেশে আসা ইস্তক সব প্রমাণ জমা করেছি। আমার শিক্ষার অধিকার (right to education) পাওয়া উচিত", এদিন এমন দাবিও করেছে সে। 


রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং বলেছেন, "ওই কিশোরীর সিলেবাস সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে, পাকিস্তানি দূতাবাসে একটা নোট পাঠানো হয়েছে। আমাদের সিলেবাস আর ওদের সিলেবাসের পার্থক্যটা দেখতে চাই"। তিনি যোগ করেন, 'ওদের থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে ওকে পরীক্ষায় বসতে দেবো। নয়তো রাজ্য শিক্ষাবিধিতে বদল এনে ওর পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করা হবে।' দামির বাবার বক্তব্য, যেহেতু মেয়ে পাকিস্তান থেকে মাধ্যমিক দিয়েছে, তাই রাজস্থান শিক্ষা পর্ষদ, দামির উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম খারিজ করেছে। আর নোটিশ পাঠিয়ে বলেছে, ওকে পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেওয়া হবে না।

এবিষয়ে হিন্দু উদ্বাস্তু সংগঠনের আহ্বায়ক হিন্দু সিংহ সোধা বলেছেন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে দামি ও তার পরিবার পাকিস্তানের সিন্ধ থেকে এসে এ দেশের শরণার্থী হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রাজস্থান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই পদক্ষেপে আমি স্তম্ভিত। ওর কাছে বদলি সার্টিফিকেট (transfer certificate) আছে। সেটা জমাও দিয়েছে। তারপর কীসে আপত্তি?"

.