Read in English
This Article is From Jun 29, 2018

হাসপাতাল থেকে পলাতক পাকিস্তানী জঙ্গিই সুজাত বুখারীর হত্যাকারী

পালানোর পরে নাভিদ এই প্রথম এত বড়ো একটা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানালেন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলের আধিকারী এসকে মিশ্রা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

নাভিদ জট্ট-কে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই পালিয়ে যায় সে (ফাইল চিত্র)

নিউ দিল্লি :

পাকিস্তানের একজন কুখ্যাত আতঙ্কবাদী হল নাভীদ জট্ট। শ্রীনগর হাসপাতাল থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে পালিয়ে গেছিল। এই মাসের প্রথম দিকে, ঈদের কয়েকদিন আগে বিখ্যাত সাংবাদিক সুজাত বুখারীকে গুলি করে হত্যা করে সে। পাকিস্তানের লস্কর-ই-তাইবার নেতৃত্বে সে কাজ করে বলে জানা গেছে, বাইক আরোহী তিন আতঙ্কবাদীর মধ্যে বন্দুকের টিগার ছিল তারই হাতে, এই কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কাশ্মীরের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারী স্বয়াম প্রকাশ পানি। 

রেসিং কাশ্মীরের সম্পাদক সুজাত বুখারীকে 14 জুন তাঁরই অফিসের সামনে গুলি বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। বিকেলবেলা ইফতার পার্টিতে যাওয়ার জন্য তিনি নিজের আফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন, এমন সময় এই 52 বছরের সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এই গুলিতে তাঁর দুজন নিরাপত্তা রক্ষীও প্রাণ হারায়। তাঁকে লক্ষ্য করে 17 টা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।

পালানোর পরে নাভিদ এই প্রথম এত বড়ো একটা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানালেন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলের আধিকারী এসকে মিশ্রা।

এক সপ্তাহের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা ভিডিও দেখা গেছে, তাতে আরও পাঁচজন জঙ্গির সাথে রাইফেল হাতে নাভিদকে দেখা গেছে। এই দলে তাদের কমান্ডার হিজবুল মুজাহিদীনও ছিল।গত চার মাস ধরে তারা পাকিস্তানী জঙ্গিদের কিভাবে পালতে সাহায্য করা যায় সেই পরিকল্পনায় করেছে।

তদন্তে জানা গেছে সুজাত বুখারীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু প্রচারাভিযান চলছিল।তিনি নাকি ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ করছিলেন।এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে সেটা নাকি এক বিরাট কারণ। একথা জানিয়েছেন পানি। 

Advertisement