চিন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু তোলায় নিন্দা ভারতের।
নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে চিনের (China) সাহায্যে জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) ইস্যু তুলতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। এটা নিরাপত্তা পরিষদের অপব্যবহার। এভাবেই পাকিস্তানের নিন্দা করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন কাজ করে বিশ্বের কাছে নিন্দিত হওয়া থেকে বিরত হোক পাকিস্তান। কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে চিনকে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন, চিনকে বিশ্ব ঐক্যের কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে এমন পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই নিয়ে তৃতীয় বার জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার করতে চাইল চিন। কিন্তু সেখানে অন্য দেশগুলি জানিয়ে দিয়েছে, এটা সেই আলোচনার মঞ্চ নয়।
চিন ছাড়াও আরও যে চারটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছিল তারা হল ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেন ও রাশিয়া।
ইমরান খানকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘অধিকাংশ সদস্যের মতেই এটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ফলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে কোনও ফয়সলায় আসা যায়নি। আমরা আশা করি এই বার্তা পাকিস্তানের কাছে স্পষ্ট যে, যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে তাহলে তা হতে হবে দ্বিপাক্ষিক ভাবে।''
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু আলোচিত হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এর আগে ডিসেম্বরও এপ্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল। পাকিস্তানের হয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে চিন। রভীশ কুমার প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন ওরা (চিন) এটা করছে ওদের (পাকিস্তান) তরফে? আমি মনে করি ওদের এমন পদক্ষেপ করা থেকে সরে আসা উচিত। ''
৯/১১ হামলার পর মার্কিনি প্রতিশোধের মতোই উচিত শিক্ষা দিতে হবে : Bipin Rawat
গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।
বৈঠকে চিনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুন বলেন, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে। তিনি আরও জানান, দুই পক্ষেরই উচিত হবে পরস্পরের সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করা। এবং সেই আলোচনা থেকেই সমাধান বেরিয়ে আসবেন।
প্রসঙ্গত, ভারত বরাবরই জানিয়েছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছে বহু দেশ। পাশাপাশি কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা ও সেখানকার ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই।