Jammu & Kashmir: পাকিস্তানকে একটি "সন্ত্রাসের কেন্দ্র" হিসাবে তুলে ধরে ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘকে ইসলামাবাদের "ছলনার বিবরণ" দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) উদ্দেশে তীব্র তোপ দাগল ভারত। পাকিস্তানকে "সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র" হিসাবে বর্ণনা করে ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (India at UN) নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করার জন্য সে দেশের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, ইসলামাবাদ জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) সম্পর্কে "ভিত্তিহীন এবং প্রতারণামূলক" প্রচার ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই ফোরামের অপব্যবহার করেছে। শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং গত ৫ অগাস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা অবলুপ্তিকরণের সিদ্ধান্তকে উল্লেখ করে ওই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন।
‘‘মনগড়া আখ্যান'': কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে পাকিস্তানকে আক্রমণ ভারতের
পাক রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করার ভারতীয় পদক্ষেপ "নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবগুলির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন"। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদেকে জম্মু ও কাশ্মীরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি সরিয়ে, যোগাযোগ ব্য়বস্থা অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টির অবসান ঘটাতে হবে এবং সেখানে যাঁরা আটক রয়েছেন তাঁদের মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারতকে চাপ দিতে হবে।
এর উত্তরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি সন্দীপ কুমার বায়াপু বলেন, "আমার দেশ সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও প্রতারণামূলক গল্প ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই ফোরামের অপব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগেও এমন একটি প্রচেষ্টা হয়েছে।তবে এ জাতীয় প্রচেষ্টা আগেও সফল হয়নি এবং এখনও সফল হবে না"।
‘‘পাকিস্তান কোনও সভ্য দেশ নয়'': পাকিস্তানকে আক্রমণ বালুচিস্তানের
"আসল সত্যটি হ'ল (পাকিস্তানী) প্রতিনিধি দল এমন একটি ভৌগলিক স্থানকে প্রতিনিধিত্ব করে যা বর্তমানে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ওই দেশটি আমাদের দেশ এবং তার বাইরেও নিরীহ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছে। আমরা এরূপ প্রতিক্রিয়ায় আমল দিতে চাই না", রাষ্ট্রসঙ্ঘে বলেন তিনি।
বায়াপু জোর দিয়ে বলেন যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদনে অবশ্যই প্রতিবেদনের সময়কালে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে যে ব্যবস্থা গ্রহণ বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সে সম্বন্ধে সকলকে আরও একবার অবহিত করতে হবে, তা তুলে ধরে বিশ্লেষণ করতে হবে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশন আগামী সপ্তাহে শুরু হবে এবং তারপরেই এটির বার্ষিক উচ্চ-স্তরের অধিবেশন শুরু হবে।