This Article is From Jun 24, 2019

“পাকিস্তান যদি তাঁদের আকাশপথ বন্ধ রাখে সেটা তাঁদের সমস্যা”:বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়া

২৮ জুন পর্যন্ত তাঁদের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি পাকিস্তানের, ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ভারতীয় এয়ারস্ট্রাইকের পরেই ওই নিষেধাজ্ঞা

“পাকিস্তান যদি তাঁদের আকাশপথ বন্ধ রাখে সেটা তাঁদের সমস্যা”:বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়া

গোয়ালিয়রে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বি এস ধানোয়া

গোয়ালিয়র:

বালাকোটে (Balakot) ভারতীয় বায়ুসেনা এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরেই সেদেশের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান (Pakistan) । এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়ার (Air Chief Marshal BS Dhanoa) সাফ জানিয়েছেন যে পাকিস্তান যদি তাঁদের আকাশপথ বন্ধ রাখে সেটা তাঁদের সমস্যা, কিন্তু তার জেরে ভারত (India) কখনোই অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করবে না।“তাঁরা (পাকিস্তান) তাঁদের আকাশপথ (Airspace) বন্ধ করেছে সেটা তাঁদের সমস্যা। তার জেরে ভারতে কোনো প্রভাব পড়বে না। এয়ার ট্রাফিক(air traffic) একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে এর জেরে ভারতের অসামরিক বিমান পরিষেবার কোনো প্রভাব পড়ে নি”, গোয়ালিয়রে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া।

২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে (Balakot) ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঢুকে জইশ জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান।তাঁরা তাঁদের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমাই বাড়িয়ে ২৮ জুন পর্যন্ত করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। 

কার্গিল যুদ্ধের কুড়ি বছর পার, টাইগার হিল দখলের ‘পুনরাভিনয়' বায়ুসেনার

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwamaattack) আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই জঙ্গি হানারই প্রত্যুত্তরে বালাকোটে ঢুকে সীমান্ত এলাকার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।

মার্চে উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পরে পাকিস্তানের (Pakistan)  তরফ থেকে অন্য দেশগুলির বিমান চলাচলের জন্যে তাঁদের আকাশপথ খুলে দিলেও ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাই বজায় রাখে তাঁরা।এর ফলে আগে যে বিমানগুলি পাকিস্তানের আকাশপথের উপর দিয়ে ভারতে যাতায়াত করত সেগুলিকে বর্তমানে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।বিশেষতঃ যে বিমানগুলি ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসছে তাঁদের অনেকটাই ঘুরে আসতে হচ্ছে।

“শুধুমাত্র চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘণ্টা ২-৩ জন্যে আমরা শ্রীনগরের বিমান চলাচল বন্ধ রেখে ছিলাম। আমরা কোনোভাবেই পাকিস্তান ফের কোনো উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করুক তা চাইনি, কেননা আমাদের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশটির তুলনায় অনেক বেশি বড় এবং শক্তিশালী”, সকলকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন বিএস ধানোয়া (Air Chief Marshal BS Dhanoa)।

সোমবার কারগিল যুদ্ধের (Kargil conflict) ২০ বছর পূর্তিতে গোয়ালিয়রে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ থেকে “টাইগার হিল অ্যাটাক”-এর পুনর্নির্মাণ করে দেখানো হয়।পাশাপাশি“অপারেশন বিজয়”-এর সময় ব্যবহৃত বিমানগুলিকে প্রদর্শনের জন্যে রাখা হয়।সেই অনুষ্ঠানে গিয়েই এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই কথা জানান বায়ুসেনা প্রধান।

ভারতীয় বায়ুসেনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বালাকোট(Balakot)এয়ারস্ট্রাইক করেছিল, সেই উদ্দ্যেশ্য সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন ধানোয়া৷ তিনি বলেন, বায়ুসেনা তাঁদের শক্তি প্রদর্শন করতে সফল হয়েছে৷ “২০০২-এর অগাস্টে, এই বার্তা খুব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে ভারতের উপর আঘাত হানতে চাইলে তাঁরা নিস্তার পাবে না”, বলেন বায়ুসেনা প্রধান। 

সেতু ভেঙে খালের জলে চলন্ত ট্রেন; দুর্ঘটনায় মৃত ৪, আহত ১০০-রও বেশি

বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পর পাকিস্তান (Pakistan) আর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরোনোর সাহস দেখায়নি। এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান, যে একটি পাক জেটও তারপর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করেনি। ভারতীয় বায়ুসেনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক করেছিল, সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলেই দাবি করেন ধানোয়া৷

“আমাদের লক্ষ্য ছিল জঙ্গি ঘাঁটি গুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া, আমরা সেই উদ্দেশ্যে সফল হয়েছি।আমাদের সেনা ঘাঁটিতে হামলা করাই লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ সফল। ওই এয়ারস্ট্রাইকের পর পাকিস্তান আর ভারতে ঢোকার সাহস পায় নি”, বলেন বায়ুসেনা প্রধান।

সোমবার গোয়ালিয়রে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) পক্ষ থেকে কারগিল যুদ্ধের সময় কিভাবে প্রতিপক্ষকে জবাব দেওয়া হয়েছিল সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল।সে সময় কিভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছিল, কোন কোন সামরিক বিমান, হেলিকপ্টার ও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সে সবও প্রদর্শন করে হয় ভারতীয় বায়ুসেনা।প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল এসইউ থার্টি এমকেআই, এম 2000, মিগ 21 বাইসন, জাগুয়ার এবং স্বল্প ওজনের অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারও।১৯৯৯ এ কাশ্মীর নিয়ে ভারত (India) ও পাকিস্তানের(Pakistan) মধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে চরম উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পরিণামেই কারগিল যুদ্ধ হয়।

.