This Article is From Nov 03, 2019

"পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো ভারতে হামলার সুযোগ খুঁজছে": আমেরিকা

US State Department: পাকিস্তান পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে

ভারতে হামলা চালানোর জন্যে সুযোগের অপেক্ষা করছে, সতর্ক করল US State Department

যে কোনও দিন এ দেশে হতে পারে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা, জানাল আমেরিকা। ভারত এবং আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্যে ওৎ পেতে রয়েছে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayyiba) , জয়েশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammad) মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি, একটি রিপোর্টের মাধ্যমে সতর্ক করল মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক (US State Department) । "অঞ্চলভিত্তিক হামলাকারী এই ধরণের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি ২০১৮ সালেও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার জন্য দায়ী পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা - এবং জইশ-ই-মহম্মদ (জেএম) ভারত এবং আফগানিস্তানকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং এই দুই দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর অভিপ্রায়ে প্রস্তুতিও নিচ্ছে তাঁরা, "কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম 2018" শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।

‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার অপেক্ষায় ৫০০ জঙ্গি '': শীর্ষ সেনা আধিকারিক

প্রতিবেদনে একথাও বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। পাকিস্তান ভিত্তিক এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো ভারতের উপর আক্রমণ চালানোর সুযোগ খুঁজছে, বলা হয় ওই বিশেষ রিপোর্টে।

"ভারতীয় কর্তৃপক্ষও জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে হামলার জন্য পাকিস্তানের উপরেই দোষারোপ করেছে", বলে তাঁরা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, তবে ভারত নিজেদের সীমান্তের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, এবং ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকে শনাক্ত করে তাঁদের দমন করতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

গ্রেফতার হওয়া চার জঙ্গি নেতার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুক পাকিস্তান: আমেরিকা

মার্কিন স্টেটস ডিপার্টমেন্টের নথিতে এই অভিযোগও করা হয়েছে যে ইসলামাবাদ আফগান তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের (এইচকিউএন) বিরুদ্ধে পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে ব্য়বহার করা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ করছে না। পরিচালিত থেকে নিষেধাজ্ঞার দায়বদ্ধ নয় বলে অভিযোগ করেছে।

"সরকার (পাকিস্তান) পাকিস্তানে সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্যে অর্থ সংগ্রহ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে, পাশাপাশি তাঁরা লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ মূলক কার্যকলাপ আটকাতেও ব্যর্থ হয়েছে । এমনকি এলইটি ফ্রন্টের সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রার্থীদেরও জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান", মার্কিন রিপোর্টে একথাও বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০১৮ সালে পাকিস্তানেও অসংখ্য সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। সেখানকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি সে দেশের সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক, নেতা-নেত্রী, নিরাপত্তা বাহিনী, আইন রক্ষকদেরও হত্যা করেছে এবং এমনকি তাঁদের আক্রমণের লক্ষ্য থেকে বাদ যায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও।

পাশাপাশি ওই রিপোর্টে একথাও বলা হয় যে, পাকিস্তানের সামরিক আদালতগুলিও সন্ত্রাসবাদ রোখার কাজের ব্যাপরে স্বচ্ছ  পদক্ষেপ করছে না এবং সেখানকার নাগরিক সমাজের নেতাকর্মীদেরও মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।

.