গত ২১ আগস্ট দু’জন জঙ্গি ধরা পড়ে বলে জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিঁলো।
হাইলাইটস
- ২১ আগস্ট সীমান্তরেখার কাছেই ধরা পড়ে খলিল আহমেদ ও মোজাম খোকার
- তারা লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত
- সেনা জানাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকাতে মরিয়া পাকিস্তান
শ্রীনগর: জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত দুই পাকিস্তানিকে গত মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) ধরা হয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) যে কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকাতে চাইছে তার প্রমাণ হিসেবে বুধবার সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ৬ আগস্ট পাথরের আঘাতে আহত হওয়া এক ব্যক্তি এদিন মারা গিয়েছেন। গত ৩০ দিনে এই ৫ জনের মৃত্যু হল পাথরের আঘাতে। একথা জানিয়ে এক বর্ষীয়ান সেনা আধিকারিক জানান, এই মৃত্যুগুলি হচ্ছে ‘‘জঙ্গি, পাথরবাজ ও পাকিস্তানের পুতুলদের জন্য।'' গত ২১ আগস্ট দু'জন জঙ্গি ধরা পড়ে। যারা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত বলে সেনা ও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রকাশ করা হয়েছে তাদের স্বীকারোক্তির ভিডিও-ও।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিঁলো জানিয়েছেন, ‘‘পাকিস্তান কাশ্মীরে যত বেশি সংখ্যক জঙ্গি ঢুকিয়ে উপত্যকার শান্তিভঙ্গ করতে চাইছে। ২১ আগস্ট আমরা দু'জন পাকিস্তানের নাগরিককে ধরেছি যারা লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত।''
সীমান্তরেখার কাছেই ধরা পড়ে খলিল আহমেদ ও মোজাম খোকার। সেনা জানিয়েছে, বারমুলা জেলার বোনিয়ার অঞ্চল থেকে তাদের ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে তারা ভারতে প্রবেশ করে এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছিল। যাতে পরে লস্করের বড় একটা দল এদেশে ঢুকে হামলা চালাতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রকগদের পরিকল্পনাই হল কাশ্মীরে বড় সংখ্যায় জঙ্গি ঢুকিয়ে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করা। সেনা একথা জানিয়েছে।
৫ আগস্ট সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার প্রস্তাব পেশ করে। পরে সেই বিল পাসও হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষেই। তখন থেকেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজ্যটি।