हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Sep 27, 2019

পাঞ্জাবে উদ্ধার পাক ড্রোন, জঙ্গি সন্দেহে আটক এক

অস্ত্র ফেলতেই সেটিকে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক শুক্রবার একথা জানিয়েছেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by , Translated By
নয়াদিল্লি:

আরও একটি পাকিস্তানের (Pakistan) ড্রোন (Drone) উদ্ধার হল পাঞ্জাবের (Punjab) আট্টারি থেকে। অস্ত্র ফেলতেই সেটিকে পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। প্রতি-গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলবীর সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘ড্রোনটি পাকিস্তানে আর ফেরত যেতে পারেনি খারাপ হয়ে যাওয়ায়। অভিযুক্ত আট্টারি সীমান্তের কাছে এক গ্রামে লুকিয়ে ছিল।'' গ্রামের এক ধানখেতে ড্রোনটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আকাশদীপ নামের জঙ্গি সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তি সেটি লুকিয়ে রেখেছিল। পরে সেই পুলিশকে ওই ড্রোনের সন্ধান দেয়।

গত সপ্তাহেই পাঞ্জাব পুলিশ প্রথম ঘোষণা করেছিল, একটি পাক ড্রোন একে-৪৭ ও গ্রেনেড ফেলেছে অমৃতসরে। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় মদত দিতেই ওই অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে পাঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে NDTV-কে জানানো হয়েছিল।

পাঞ্জাবের মাটিতে অস্ত্র ফেলেছে পাক ড্রোন, জানাল সূত্র

Advertisement

গত ১০ দিনে আটবার ড্রোনগুলিকে ভারতীয় সীমান্তে দেখা গেল। অস্ত্র ফেলতেই তাদের পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া স্যাটেলাইট ফোনও ফেলেছিল ড্রোনগুলি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রানুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই ড্রোনগুলি ৫ কেজি পর্যন্ত বস্তু বহন করতে পারে। দ্রুত চলতে পারে এগুলি। এদের ধরাও মুশকিল।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের ক্ষমতা নেই এই নীচু উড়ন্ত বস্তুকে সনাক্ত করার। বিশেষ করে রাতে এগুলিকে চিহ্নিত করা অসম্ভব। কেবল রাডারের সাহায্যেই তাদের ধরা সম্ভব বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জা‌নিয়েছেন।

সূত্র জানাচ্ছে, স্যাটেলাইট ফোন সাধারণ নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ। সুতরাং এই ফোনগুলি ফেলার অর্থ ওগুলি জঙ্গিদের জন্যই ফেলা হয়েছে। যাতে তারা জম্মু ও কাশ্মীরে হানা দিতে পারে।

সোমবার পাঞ্জাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ' দলের চারজনকে। তাদের কাছ থেকে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র  ও ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

পাঞ্জাবের নম্বর লাগানো মারুতি সুজুকি করে পালাচ্ছিল ওই জঙ্গিরা। তাদের ধরে ফেলার পাশাপাশি একটা অর্ধদগ্ধ ড্রোনও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রানুসারে জানা যায়, ওই ড্রোন পাকিস্তানে উড়ে ফেরত যেতে পারছিল না বলে জঙ্গিরাই ওই ড্রোন আগুন লাগিয়ে দেয়।

পুলিশ জানাচ্ছে, লক্ষ করা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের পরেই পাকিস্তান থেকে অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা বেশি চোখে পড়ছে।

Advertisement

রাজ্য পুলিশ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ওই মামলার তদন্ত করতে বলেছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই সমস্যার নিয়ন্ত্রণের আবেদন করেন।

Advertisement

দেখুন ভিডিও

  .  

Advertisement